তিরুপতি মন্দির। ফাইল চিত্র।
তিরুপতি মন্দিরে বিশেষ পুজো দিতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ, গত ১৪ বছর ধরে অপেক্ষা করানোর পরও সেই পুজো দিতে ছাড়পত্র দেননি মন্দির কর্তৃপক্ষ। শেষমেশ, তামিলনাড়ুর সালেমের একটি ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ভক্ত। হয় বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হোক, না হলে ওই ব্যক্তিকে এক বছরের মধ্যে ৫০ লক্ষ টাকা দিন মন্দির কর্তৃপক্ষ। এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমে (টিটিডি) ‘বস্ত্রালঙ্কার’-এর (বিশেষ পুজো) আয়োজন করতে চেয়েছিলেন হরি ভাস্কর। ২০০৬ সালে এ জন্য ‘বুকিং’ করেন তিনি। কিন্তু ১৪ বছর ধরে ওই বিশেষ পুজোর বন্দোবস্ত করেননি বলে মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এর পর, ২০২০ সালে করোনা অতিমারির জেরে ৮০ দিন বন্ধ ছিল মন্দির। সে সময় ‘বস্ত্রালঙ্কার’-সহ বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে ওই ব্যক্তিকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ‘ভিআইপি দর্শনে’র যে সময়, সেই রকম কোনও একটা সময় তাঁকে বেছে নিতে হবে অথবা টাকা ফেরত নেওয়ার কথা জানানো হয়।
কিন্তু ভাস্কর মন্দির কর্তৃপক্ষকে জানান যে, ‘বস্ত্রালঙ্কার’-এর জন্য একটি দিন বেছে দেওয়া হোক। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এই বিশেষ পুজোর জন্য আর কোনও দিন নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। এর পরই জেলা ক্রেতাসুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। ওই ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপভোক্তা কমিশন নির্দেশ দিয়েছে যে, হয় এক বছরের মধ্যে ওই বিশেষ পুজোর আয়োজন করতে হবে, না হলে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আদালতের তরফে এও বলা হয় যে, এই বিশেষ পুজোর জন্য ১২ হাজার ২৫০ টাকা দিয়েছিলেন ওই ভক্ত। ২০০৬ সাল থেকে সেই অঙ্কের সঙ্গে ২৪ শতাংশ সুদের হারে টাকা ফেরত দিতে হবে। পুজো না দিতে পারার অভিযোগে এই প্রথম কোনও ভক্ত ওই মন্দির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy