মঞ্চে উপস্থিত সারা দেশের বিরোধী দলের নেতারা। —নিজস্ব চিত্র।
বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রীর নাম উঠে আসবে ভোটের পরেই। ব্রিগেড সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী-প্রশ্নে তাঁদের এই অবস্থানই ফের স্পষ্ট করলেন বিজেপি-বিরোধী নানা দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, ভাবার দরকার নেই। ভোটের পরে আমরা ঠিক করব। এখন লড়াই হবে যৌথ নেতৃত্বে।’’ ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা পরামর্শ দিয়েছেন, ‘‘কেউ যেন না ভাবেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হব! ওটা পরে দেখা যাবে। এখন একজোট হয়ে দেখাতে হবে।’’
ক’দিন আগেই বিএসপি নেত্রী মায়াবতী বলেছিলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ বরাবরই প্রধানমন্ত্রী ঠিক করায় নির্ণায়ক ভূমিকা নেয়। এ বারও তা-ই হোক।’ মায়ার জোটসঙ্গী এসপি নেতা অখিলেশ অবশ্য এ দিন বলেছেন, ‘‘কে আমাদের প্রধানমন্ত্রী হবেন, ঠিক আছে কি না— এই নিয়ে অনেক কথা বলে বিজেপি। আমরা বলছি, হ্যাঁ ঠিক আছে! জনতা যাকে চাইবে, তিনিই হবেন প্রধানমন্ত্রী।’’
আরও পড়ুন: মমতার মুখে রাফাল শুনে খুশি কংগ্রেস
আঞ্চলিক দলগুলি একজোট হলেও তাদের নিজস্ব বিভিন্ন বাসনা সামনে এসে গোল পেকেছে, এমন উদাহরণ বিস্তর। তা মাথায় রেখেই প্রাক্তন বিজেপি মন্ত্রী অরুণ শৌরির বক্তব্য, ‘‘একটা আত্মত্যাগের ভাবনা মাথায় রেখে এগোতে হবে। যদি কেউ মনে করে ওদের ৪০টা আসন আছে, আমার ৪৫টা হলে প্রধানমন্ত্রী পাব— এই রকম বিবেচনা নিয়ে চললে হবে না।’’ এনসিপি-র শরদ পওয়ার বলেছেন, ‘‘কাউকে প্রধানমন্ত্রী করতে চাই, এই রকম ভাবনা নিয়ে এখানে আসিনি।’’ আবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, আপ নেতা কেজরীবাল নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়ে আসার ডাক দিয়েছেন।
জোটে কংগ্রেস থাকলে প্রধানমন্ত্রী পদের ‘উপযুক্ত দাবিদার’ তারাই, এমন চর্চা সব সময়েই আছে। কংগ্রেসের প্রতিনিধি মল্লিকার্জুন খড়্গে এ দিন বলেন, এই ভোট প্রধানমন্ত্রী বাছার জন্য নয়। মোদীকে সরানোর জন্য। পরে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিরও যুক্তি, প্রধানমন্ত্রী নিয়ে ভাবা ভোটের পরে— এটাই কংগ্রেসের ঘোষিত অবস্থান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy