ফাইল চিত্র।
ত্রিপুরায় বারবার আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার পথে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে পরের পর ঘা মারা হয়েছিল বিজেপির পতাকার ডান্ডা দিয়ে। আজ সকালে উদয়পুরের সেই ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে সুস্মিতা দেব পুজো দিয়ে আসার পরে সেখানে আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের সমর্থকেরা। ব্রাত্য বসুর দাবি, আহত হয়েছেন দলের তিন সমর্থক। যদিও পুলিশের মতে, জখমের সংখ্যা দুই। ঘটনাটি ঘটেছে উদয়পুর কলেজের সামনে।
সন্ধ্যায় গোবিন্দ পন্থ হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান ব্রাত্য, সুস্মিতা, বিশ্বজিৎ দেব, সুবল ভৌমিকরা। এখানে ট্রমা সেন্টারে রয়েছেন আহত সুমন মিয়াঁ ও আজাদ সরকার। তাঁদের মাথার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে বলে ব্রাত্য জানিয়েছেন। আহত অন্য জনের উদয়পুরে চিকিৎসা চলছে।
ব্রাত্য বলেন, “আজ কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। সুস্মিতা দেব উদয়পুরে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির পুজো দিয়ে ফিরে আসার পর বিজেপির হার্মাদরা আমাদের তিন সমর্থককে পিটিয়েছে। বিরোধীদের দেখলেই আক্রমণ করা হচ্ছে এই রাজ্যে। এটা আদৌ সভ্যতার লক্ষণ নয়। পশ্চিমবঙ্গেও রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়। কিন্তু এই রাজ্যের মতো এমন ভাবে হয় না।” বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে যা হচ্ছে, তার থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ব্রাত্য বসু। পুলিশ তদন্ত করার আগেই বলে দিচ্ছেন বিজেপির কর্মীরা জড়িত!”
উদয়পুরে সুস্মিতা বলেছেন, “শেষ কথা বলবেন সাধারণ মানুষ। তবে মা ত্রিপুরেশ্বরীর আশীর্বাদেআমরা ত্রিপুরা এবং জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।” পরে আগরতলায় ফিরে ব্রাত্য ও দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুস্মিতা। তৃণমূল তাঁকে দলের মুখ করতে চলেছে বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা চললেও সুস্মিতা জানান, ত্রিপুরার নেতৃত্বে কে থাকবেন, রাজ্যের মানুষই তা ঠিক করবেন। আগামী দু’তিন মাস শুধু সংগঠন মজবুত করার দিকে নজর থাকবে তাঁর এবং দলের। তৃণমূলের পাখির চোখ এখন ত্রিপুরার ভোট।
সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্যের প্রশ্ন, “বিজেপি বলছে তৃণমূলকে ভয় পায় না। কিন্তু তৃণমূলের সমর্থকদের উপরে কেন আক্রমণ করছে? আসলে ভিত খোয়াচ্ছে বিজেপি, ভয় পাচ্ছে।” সুস্মিতার আশ্বাস, “তৃণমূল কোনও হিংসার রাস্তায় যাবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy