অশোক খেমকা।—ফাইল চিত্র।
কর্মজীবন ২৭ বছরের। তার মধ্যে বদলিই হয়েছেন ৫২ বার! তার মধ্যে কেন্দ্রে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর, গত পাঁচ বছরেই ছ’বার। এ নিয়ে এ বার সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন আইএএস অফিসার অশোক খেমকা।
রবার্ড বঢরা এবং ডিএলএফ-এর জমি চুক্তির মিউটেশন বাতিল করে প্রথমবার খবরের শিরোনামে এসেছিলেন অশোক। কী কারণে বারবার তাঁকে বদলি করা হচ্ছে, তা যদিও খোলসা করেননি ওই আইএএস অফিসার। তবে এ ভাবে তাঁকে দমিয়ে রাখা যাবে না বলেও টুইটারে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
১৯৯১ ব্যাচের আইএএস অফিসার অশোক গত ১৫ মাস ধরে হরিয়ানায় বিজেপি সরকারের ক্রীড়া ও যুব দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পদে কাজ করছিলেন। কিন্তু রবিবার অন্য ন’জনের সঙ্গে আচমকাই তাঁকে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি দফতরে বদলি করা হয়। আগে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি দফতরেই তাজ করতেন তিনি। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে সেখান থেকে ক্রীড়া ও যুব দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী অনিল ভিজের আওতায় সরিয়ে আনা হয় তাঁকে। রবিবার ফের সেখানে ফেরত পাঠানোয় টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অশোক খেমকা। হিন্দিতে তিনি লেখেন, ‘কার স্বার্থ রক্ষা করব? সরাসরিআপনাদের, নাকি যাঁদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার দাবি করেন তাঁদের? হাতে ক্ষমতা রয়েছে, তাই আমাকে এ ভাবে পদদলিত করছেন। তা-ই সই। আগেও সয়েছি, আরও একবার না হয় সয়েই দেখি।’
किसके हितों की रक्षा करूँ? तुम्हारा या उनका जिनका आप प्रतिनिधित्व का दावा करते हैं?
— Ashok Khemka (@AshokKhemka_IAS) March 5, 2019
दम्भ है हमें पैरों तले रौंदोगे। शौक से, कई बार सहा है, एक बार और सही।
অশোক খেমকার টুইট।
আরও পড়ুন: পাহাড় চুরি
আরও পড়ুন: নীরব মোদীর বাংলো নিয়েও ভোগান্তি সরকারের, এখন ভরসা ডিনামাইট
নিজে যদিও বদলির কারণ স্পষ্ট করে জানাননি অশোক। তবে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্য আইনের আওতায় আরাবল্লি পার্বত্য অঞ্চলে এতদিন নির্মাণকার্য একেবারেই নিষিদ্ধ ছিল। সম্প্রতি তাতে সংশোধন ঘটিয়েছে হরিয়ানার মনোহরলাল খট্টারের সরকার। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় সেই মর্মে বিলও পাশ করানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে সম্প্রতি সরব হয়েছিলেন অশোক খেমকা। প্রকাশ্যে নিজের মতামতও জানিয়েছিলেন।সেই সঙ্গে ধর্মের নামে বিভাজনের চেষ্টা নিয়েও টুইটারে সরব ছিলেন। তার জেরেই আচমকা তাঁকে বদলি করা হয়ে থাকতে পারে।
কর্তব্যপরায়ণ অফিসার হিসাবেই সুনাম রয়েছে অশোক খেমকার। ২০১২ সালে ডিএলএফ-এর সঙ্গে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গাঁধীর জামাই রবার্ট বঢরার জমিচুক্তির মিউটেশন তিনিই বাতিল করেন। তার জেরে ডাকাবুকো আইএএস অফিসার হিসাবে পরিচিতি তৈরি হয় তাঁর। এর আগে, ২০১৭ সালে যখন তাঁকে বদলি করা হয় তখনও সোশ্যাল মিডিয়াতেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সে বার লিখেছিলেন, “কত পরিকল্পনা ছিল। তার মধ্যেই বদলির খবর এল। কিছু লোকের স্বার্থ জয়ী হল। বার বার একই ঘটনা। তবে দীর্ঘস্থায়ী হবে না আশাকরি। আগের মতোই উত্সাহ নিয়ে কাজ করে যাব।” তবে নতুন করে অশোক খেমকার বদলি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি হরিয়ানা সরকার।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy