Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Nithari case

বাড়িতে মেলে ১৯টি কঙ্কাল, ‘বাঙালি তরুণীকে খুন করে মাংস ভক্ষণ’! নিঠারিকাণ্ডে দুই আসামিরই ফাঁসি রদ

২০০৫-২০০৬ সাল নাগাদ নয়ডার নিঠারিতে একের পর যুবতী, কিশোর, কিশোরী নিখোঁজ হতে শুরু করে। তার তদন্তে নেমে ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী পান্ধেরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৯টি কঙ্কাল।

নিঠারি হত্যা মামলার সেই দুই মূল অভিযুক্ত মণীন্দ্র সিংহ পান্ধের এবং সুরেন্দ্র কোহলি।

নিঠারি হত্যা মামলার সেই দুই মূল অভিযুক্ত মণীন্দ্র সিংহ পান্ধের এবং সুরেন্দ্র কোহলি। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৪৩
Share: Save:

নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজা হয়েছিল তাঁদের। ২০০৬ সালে নয়ডার নিঠারি হত্যা মামলার সেই দুই মূল অভিযুক্ত মণীন্দ্র সিংহ পান্ধের এবং সুরেন্দ্র কোহলির ফাঁসির সাজা রদ করল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। আদালত সূত্রে খবর, সুরেন্দ্রকে ১২টি মামলায় এবং মণীন্দ্রকে দু’টি মামলায় ‘বেকসুর’ ঘোষণা করেছে উচ্চ আদালত। তাতেই তাঁদের ফাঁসির সাজা রদ হল।

২০০৫-২০০৬ সাল নাগাদ নিঠারিতে একের পর যুবতী, কিশোর-কিশোরী নিখোঁজ হতে শুরু করে। তার তদন্তে নেমে ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর নিঠারির ব্যবসায়ী পান্ধেরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৯টি কঙ্কাল এবং কিছু দেহাবশেষ। এই ঘটনায় গোটা দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। পরে তদন্তে উঠে আসে, শিশু, কিশোর-কিশোরীদের উপর যৌন অত্যাচার চালিয়ে খুন করে তাদের দেহের অংশ প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে খেয়ে ফেলতেন পান্ধের এবং তাঁর বা়ড়ির পরিচারক সুরেন্দ্র। পান্ধেরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কঙ্কারগুলির মধ্যে একটি ছিল বাঙালি তরুণী পিঙ্কি সরকারের কঙ্কাল। অভিযোগ ছিল, যৌন নির্যাতনের পরে খুন করা হয় তাঁকে। সেই মামলায় পান্ধের এবং কোহলিকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিলেন সিবিআই আদালতের বিশেষ বিচারক পবন তিওয়ারি।

নিঠারি কাণ্ডের ১৯টি মামলার মধ্যে যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে তিনটি মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। বাকি ১৬টি মামলার মধ্যে সাতটিতে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয় কোহলিকে। মণীন্দ্র অবশ্য মামলায় জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন। পরে পিঙ্কি খুনের মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

পিঙ্কি খুনে সিবিআই তদন্তে উঠে আসে, বছর কুড়ির বাঙালি মেয়েটি মণীন্দ্রের বাড়িতে পরিচারিকার কাজে ঢুকেছিলেন। তদন্তকারী সংস্থা জানায়, সেখানে তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করে খুন করা হয়। সুরেন্দ্র দোতলার কলঘরে তাঁকে খুন করেন। তার পর তাঁর মাথা কেটে বাকি দেহ প্রেশার কুকারে রান্না করে খেয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০০৭ সালের এপ্রিলে পিঙ্কির জামাকাপড় শনাক্ত করেন তাঁর বাবা-মা। পরে সুরেন্দ্র নিজেই পিঙ্কির চটিজোড়া শনাক্ত করেন। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অন্য মামলাগুলিতেও তিনি নিজেই শিশুদের ধর্ষণ, খুন করে তাদের খেয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nithari Case Allahabad High Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE