নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
সাড়ে সাত সকালে দিল্লিতে ফ্যাঁত ফ্যাঁত সাঁই সাঁই!মঙ্গলগ্রহের দুর্বল বাসিন্দারা কি কাছ থেকে ৫৬ ইঞ্চি ছাতি দেখতে এল! নাকি শরীরচর্চা শিখতে এল সাত নম্বর লোক কল্যাণ মার্গে! বাড়ির মালিক তো নিজের শরীরচর্চার ভিডিয়ো তুলিয়েছেন সদ্যই। এমন নানা কিসিমের রসিকতায় ছেয়ে যাচ্ছে টুইটার। রসিকদের দোষ কী! দিল্লি পুলিশই তো জানিয়ে দিয়েছে যে, নরেন্দ্র মোদীর সরকারি বাসভবনের উপরে আজ সকাল সাড়ে সাতটায় একটি ‘ইউএফও’ দেখা গিয়েছিল! টুইটার কী বলছে দেখা যাক। এক জন লিখেছেন, ‘মোদী নিজেই ইউএফও সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, যাতে কেউ জানতে না পারে তিনি কোথায় যাচ্ছেন এবং কেন যাচ্ছেন।’
আর এক জনের প্রশ্ন, ‘এর পরে কী পাওয়া যাবে? জ়োম্বি নয়তো!’ নিরাপত্তার খাতিরে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘিরে ২ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ পর্যন্ত এলাকায় যাবতীয় উড়ান নিষিদ্ধ। আজ সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ নাকি সাত লোক কল্যাণের আশপাশে উড়ন্ত বস্তুটিকে দেখতে পান এসপিজি-র অফিসারেরা। তাঁদের ডাকে ছুটে আসে পুলিশ। তত ক্ষণে এনএসজি, আইবি, সিআইএসএফ, দিল্লি বিমানবন্দর, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল— সর্বত্র হুলস্থুল। ঘিরে ফেলা হয় মোদী-ভবন। আশপাশের এলাকায় চিরুনি তল্লাশিতে নামে যৌথ বাহিনী।
কিছুই অবশ্য মেলেনি। দ্বিতীয় বার দেখাও দেয়নি ইউএফও। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল জানিয়েছে, উড়ন্ত বস্তু খুব ছোট হলে তাকে রেডারে ধরা মুশকিল। তবে দিল্লি পুলিশের বিশেষ মুখপাত্র দীপেন্দ্র পাঠক বলেন, ‘‘অজানা উড়ন্ত কী একটা যে দেখা গিয়েছিল, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। তবে ভয়েরও কারণ নেই।’’ ২০১৭-র ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা নাগাদ সংসদ এলাকায় নাকি ঘুরপাক খেতে দেখা গিয়েছিল একটি ড্রোনকে। সেটিরও পরে হদিস মেলেনি।
উড়ন্ত চাকি হাঁকিয়ে ভিন্গ্রহীরা দিল্লিতে এলেও অবশ্য মোদীর দেখা পেত না আজ। তিনি রয়েছেন ছত্তীসগঢ়ে। সেখান থেকে লাগাতার ছবি-ভিডিও পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পড়ন্ত বেলায় তা নিয়েও খোঁচা দিল আমজনতা। টুইটারে লেখা হল— ‘কত ক্ষণে মোদী ইউএফও সাইটিং বলে টুইট করবেন, তার অপেক্ষাতেই রয়েছি। আশা করি রাহুল গাঁধী মোদীর বাড়ির আশপাশে নজর রাখছেন না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy