নগাঁওয়ের ঘটনাকে হাতিয়ার করে অসমে সমর্থন ফেরাতে চাইছে আলফা (স্বাধীন)। ‘পরেশ বরুয়া জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে রাস্তায় বের হয়েছে মিছিল। ভাষাগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। এই পরিস্থিতিতে আজ পরেশপন্থী আলফা বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে, রবীন্দ্রনাথ হোক বা জওহরলাল কি দীনদয়াল উপাধ্যায়— অসমে অবদান নেই এমন কোনও বহিরাগতের নামে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ চলবে না।
নগাঁওয়ে বঙ্গভাষী ব্যবসায়ীর কাছে টাকা চাইতে গিয়ে কয়েক দিন আগে মার খান প্রাক্তন আলফা নেতা মিন্টু বরা ও তাঁর সঙ্গীরা। ওই ঘটনাকে ‘অসমীয়াদের উপরে ভাষাগত সংখ্যালঘুদের আক্রমণ’ হিসেবে দেখিয়ে সরব হয় আলোচনাপন্থী আলফা। ফের অস্ত্র তুলে নেওয়ার হুমকি দেন অরবিন্দ রাজখোয়া। ভূমিপুত্রদের অধিকার রক্ষায় অনুপ চেতিয়ার নেতৃত্বে তৈরি হয় ‘খিলঞ্জিয়া যৌথ মঞ্চ’। এ দিন আলফা বিবৃতি দিয়ে দাবি করে, জাতীয় সঙ্গীত থেকে অসমের নাম বাদ দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাই তাঁর নামে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি অর্থহীন। নেহরু, ইন্দিরা বা দীনদয়াল উপাধ্যায়ের নামও চলবে না। এই হুমকিও দেওয়া হয়, বহিরাগতদের নামাঙ্কিত প্রতিষ্ঠানের নাম বদল করা না-হলে সশস্ত্র কর্মসূচি নেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। সব পক্ষকে সতর্ক ও সংযত থাকতে হবে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই বিশেষ করে উজান অসমে আলফা সক্রিয়। অনেক যুবককে তারা দলে নিয়োগও করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy