—ফাইল চিত্র।
উন্নাওয়ের ঘটনায় বিজেপিকে বিঁধতে গিয়ে বারাবঁকীর স্কুলছাত্রীর তোলা প্রশ্নকেই সামনে নিয়ে এলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।
বারাবঁকীর একটি স্কুলে মেয়েদের সুরক্ষা নিয়ে আলোচনার সময়ে এক পুলিশকর্তার উদ্দেশে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মুনিয়া কিদোয়াইয়ের প্রশ্ন নিয়ে সব মহলেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। উন্নাওয়ের ধর্ষিতার গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কার প্রসঙ্গ টেনে ওই পুলিশকর্তাকে সে বলে, ‘‘ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে এক বিজেপি নেতা। সবাই জানে (রায়বরেলীতে ট্রাকের ধাক্কা) ওটা দুর্ঘটনা নয়। ট্রাকের নম্বর প্লেট কালো করে দেওয়া ছিল।... যখন এমন ঘটনায় প্রভাবশালী কেউ জড়িয়ে থাকে, আমরা জানি তাকে আড়াল করা হবে। উন্নাওয়ের মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা যদি প্রতিবাদ করি, কী ভাবে আপনারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন? আপনি গ্যারান্টি দিতে পারেন, আমার খারাপ কিছু হবে না?’’ সেই ভিডিয়ো ভাইরাল।
মুনিয়াকে নিয়ে সংবাদপত্রের খবরকে তুলে ধরে এ দিন টুইট করেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁর মন্তব্য, ‘‘যদি কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি খারাপ কিছু করে, তা হলে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদের কথা শোনা হবে কি? বারাবঁকীতে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার সময়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে সেই প্রশ্নই ছুড়ে দিয়েছে এক ছাত্রী। তবে এই প্রশ্ন শুধু ছাত্রীদেরই নয়, গোটা রাজ্যের মহিলাদের।’’ বিজেপির থেকে এর জবাবও চেয়েছেন প্রিয়ঙ্কা।
এ দিনই প্রবল চাপের মুখে ধর্ষণে অভিযুক্ত জেলবন্দি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি। এর পরেই মোদী-যোগীর দলকে নিশানা করেন প্রিয়ঙ্কা। টুইট করে বলেন, ‘‘বিজেপি শেষ পর্যন্ত স্বীকার করে নিয়েছে, এক জন অপরাধীকে তারা ক্ষমতা দিয়েছিল। আর এক জন মহিলার উপর এত অত্যাচার হয়ে যাওয়ার পরে, বিজেপি এখন সেই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে নিজেদের সংশোধন করতে চাইছে।’’
উত্তরপ্রদেশে ‘জঙ্গল রাজের’ দিকে নজর দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy