লখনউয়ের হাসপাতাল থেকে এমসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উন্নাওয়ের নির্যাতিতাকে। সোমবার। ছবি: পিটিআই।
উন্নাওয়ের নির্যাতিতা ও ওই মামলায় তাঁর আইনজীবীকে চিকিৎসার জন্য দিল্লির এমস হাসপাতালে নিয়ে আনা হল। এ দিনই তাঁদের এমসে আনার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। রায়বরেলীতে তাঁদের গাড়িতে ট্রাক ধাক্কা দেওয়ার পরে তাঁরা লখনউয়ের কিং জর্জস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁদের দিল্লি আনা হয়। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে এমস পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার রাস্তা গ্রিন করিডর করে ১৮ মিনিটে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে দিল্লি পুলিশ।
ওই ধর্ষিতাকে এমসে আনার ব্যাপারে শুক্রবার রায় স্থগিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত। কারণ, নির্যাতিতার পরিবার আদালতে জানায়, তাঁরা এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। পরে বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চের সামনে নির্যাতিতার আইনজীবী রাধাকৃষ্ণ রেড্ডি জানান, নির্যাতিতার পরিবার এখন এমসে চিকিৎসা করাতে চাইছে। এর পরেই শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছে।
সকালে লখনউয়ের হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তিনি সাড়া দিচ্ছেন, চোখ খুলছেন। জ্বর কমে আসছে। ভেন্টিলেটর থেকে তাঁকে বার করে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে তাঁর রক্তচাপের মাত্রা এখনও চিন্তার বিষয়।
এ দিনই দিল্লির একটি আদালত ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপির বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারকে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেল থেকে দিল্লির তিহাড় জেলে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সেঙ্গার ও তার সঙ্গী শশী সিংহকে এ দিন আদালতে পেশ করা হয়। গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, উন্নাও মামলার বিচারপ্রক্রিয়া দিল্লিতে স্থানান্তরিত করে ৪৫ দিনের মধ্যে তা শেষ করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy