Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Marriage

পাত্রের ‘খোঁজ নেই’, সরকারি টাকা হাতাতে ভাইকেই বিয়ে, নেপথ্যের অন্য গল্পও এল প্রকাশ্যে

পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে ওই মহিলা আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন। শুধুমাত্র সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতানোর জন্যই আবার গণবিবাহ অনুষ্ঠানে বিয়ে করার জন্য নাম লিখিয়েছিলেন।

UP woman marries her brother for Mass Wedding Scheme benefits

প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৬:২৩
Share: Save:

গণবিবাহের আসরে এসেছিলেন বিয়ে করতে, কিন্তু সময়মতো পাত্রই এসে পৌঁছতে পারেননি। চিন্তায় পড়ে যান পাত্রী। বিয়ে না হলে আবার সরকারি প্রকল্প থেকে টাকা পাওয়া যাবে না। কী করবেন, ভাবতে ভাবতে নিজের ভাইয়ের গলাতেই মালা দেন এক মহিলা! আবারও উত্তরপ্রদেশ সরকারের গণবিবাহ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এক প্রতারণার অভিযোগ প্রকাশ্যে এল।

পুলিশ সূ্ত্রে খবর, গত ৫ মার্চ লখিমপুরে একটি গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে বিয়ে করার জন্য নাম লেখান প্রীতি যাদব এবং রমেশ যাদব। তবে বিয়ের দিন সময়মতো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি রমেশ। শেষ পর্যন্ত নিজের ভাই কৃষ্ণকে বিয়ের জন্য রাজি করান প্রীতি।

চমক এখানেই শেষ নয়, পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে প্রীতি বিবাহিত ছিলেন। রমেশের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল বছর খানেক আগে। শুধুমাত্র সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতানোর জন্যই আবার গণবিবাহ অনুষ্ঠানে বিয়ে করার জন্য নাম লিখিয়েছিলেন। তবে নিজের বর রমেশ নয়, ভাইকে একে বারে রীতি মেনেই বিয়ে করলেন প্রীতি। পাশাপাশি, সরকারি উপহারও নিয়ে যান তাঁরা।

বিষয়টি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। লখিমপুরের বিডিও অমিত মিশ্র জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত পাত্র-পাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এক জন গ্রামোন্নয়ন দফতরের আধিকারিককে বরখাস্তও করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে ‘বিবাহ যোজনা প্রকল্প’ শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই প্রকল্পের অধীনে ৫১ হাজার টাকা দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। তার মধ্যে ৩৫ হাজার টাকা যায় কনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয় বরকে। বাকি ছ’হাজার টাকা পান গণবিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা।

অতীতেও ‘বিবাহ যোজনা প্রকল্প’ থেকে টাকা হাতানোর জন্য নানা ‘প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। গত জানুয়ারিতেই ‘ভুয়ো’ গণবিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল বালিয়াতে। সেই অনুষ্ঠানে ২৪০ জনের মতো পাত্র-পাত্রী নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু পরে জানা যায়, তাঁরা সকলেই মিথ্যা পরিচয় দিয়ে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। শুধুমাত্র সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতানোই উদ্দেশ্য ছিল। সেই ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Uttar Pradesh Marriage
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE