জোশীমঠের রাস্তায় ফাটল। ছবি: পিটিআই।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরও বন্ধ হচ্ছে না জোশীমঠের কাজ। বৃহস্পতিবারও সেখানে রাস্তার কাজ করছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। যা ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে উত্তরাখণ্ডের উপরিভাগে বরফ পড়েছে। বেড়েছে ঠান্ডা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে নতুন করে ধস নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানুয়ারি মাসের গোড়াতেই জোশীমঠের বহু বাড়িতে বড়সড় ফাটল দেখা গিয়েছিল। তার মধ্যেই একটি পরিত্যক্ত মন্দির ভেঙে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সেখানকার বাসিন্দারা। এলাকা পরিদর্শনে যান উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। জোশীমঠে দাঁড়িয়ে গত ৮ জানুয়ারি তিনি বলেছিলেন, “এখন থেকে সব বড় প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকবে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই বন্ধ হয়ে যায় জোশীমঠ থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে চলা এনটিপিসির তপোবন-বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজও।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একটি বড় অংশের দাবি, ধামীর ওই ঘোষণার পরেও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার অদূরে ৮ থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত জোশীমঠ-দিল্লি ৭ নম্বর জাতীয় সড়কের কাজ চলেছে। রীতিমতো পাথর ভাঙার মেশিন দিয়ে ভাঙা হয়েছে পাহাড়! কার্যত সরকারের নাকের ডগায় এই কাজ চললেও এখনও অবধি কাজ বন্ধ রাখার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। মহকুমা শাসক অবশ্য অবহিত এই কাজের বিষয়ে। তিনি জানিয়েছেন, বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন এই কাজ করছে। চিন সীমান্তে দ্রুত রসদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই কাজ জরুরি বলে জানিয়েছেন তিনি। এই কাজ ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলবে বলে জানা গিয়েছে।
ভূতত্ত্ববিদদের একাংশ আগেই জানিয়েছিলেন, প্রাকৃতিক কারণ তো বটেই, নিয়ম না মেনে একাধিক নির্মাণ প্রকল্প চালানোর জন্যই ক্রমশ পাহাড়ের কোলে তলিয়ে যাচ্ছে জোশীমঠ। প্রধানমন্ত্রীর সাধের চারধাম প্রকল্পে সড়ক সম্প্রসারণের জন্য কাটা হয়েছে গাছ। আগেই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে জোশীমঠের ক্রমশ আলগা হয়ে যাওয়া ভিত এর ফলে আরও দুর্বল হয়ে গিয়েছিল বলে মত ওই ভূতত্ত্ববিদদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy