Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Uttarkashi Tunnel Collapse

সুড়ঙ্গ: প্রশ্নে ঠিকাদার এবং নজরদারেরা

উত্তরকাশীতে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গ ধসে গত ১২ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত আটকে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তিন জন-সহ মোট ৪১ জন শ্রমিক।

uttarkashi tunnel collapse

উত্তরাখণ্ডের ভেঙে পড়া সুড়ঙ্গে চলছে উদ্ধারকাজ। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:৫৫
Share: Save:

উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ-বিপর্যয়ের জন্য আঙুল তোলা হয়েছে কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারদের দিকে। পাশাপাশি, নজরদারির দায়িত্বে থাকা সরকারি আধিকারিদের গাফিলতিও ছিল বলে দাবি তদন্তকারী দলের। জাতীয় স্তরের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদেনে উল্লেখ, গত পরশু তদন্ত-রিপোর্ট জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, দুর্ঘটনার পিছনে আরও অনেক কারণ ছিল।

উত্তরকাশীতে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গ ধসে গত ১২ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত আটকে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তিন জন-সহ মোট ৪১ জন শ্রমিক। উদ্ধারের চেষ্টা অনেক বার ব্যর্থ হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সম্মিলিত টানা চেষ্টায় এবং বিদেশের বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ১৭ দিনের মাথায় বার করে আনা হয় তাঁদের। ১৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের অংশ হিসাবে, উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা থেকে বারকোট পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটারের ওই সুড়ঙ্গ তৈরি হচ্ছিল হিমালয়ের মধ্য দিয়ে। তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিল পরিবহণ মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল)। সংবাদ প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে, ঠিকাদার এনএইচআইডিসিএল-এর ইঞ্জিনিয়ারদের থেকে নির্মাণকাজের পদ্ধতি অনুমোদন করিয়ে নেননি। হিমালয়ের ভঙ্গিল পর্বত। তার নানা রকমের ভূমিরূপের বিষয়টি উপেক্ষা করে বদল করেছিলেন কাজের পরিকল্পনাও। পর্যাপ্ত ছিল না ‘সেন্সর’ এবং যন্ত্রপাতি, যার থেকে পরিকল্পনা-পরিবর্তনের ফলে মাটির ভিতরে কী হচ্ছে তার আঁচ পাওয়া সম্ভব হত।

তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারেরাও তাঁদের দায়িত্ব ঠিক পালন করেননি বলে দাবি ওই সংবাদমাধ্যমটির। আরও দাবি, বড় দুর্ঘটনার আগে ২১ বার ছোট ছোট ধস নেমে সুড়ঙ্গে গর্ত হয়েছিল। সেই কথা এনএইচআইডিসিএল-এর এক আধিকারিক লক্ষ করে বলার পরেও নজর দেওয়া হয়নি।

দুর্ঘটনার তদন্তকারী দলে রয়েছেন বর্ডার রোডস অর্গানাইজ়েশন এবং রেলের আধিকারিক, দু’জন অধ্যাপক। বিস্তারিত প্রকল্প, নকশা সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রভৃতি খতিয়ে দেখে তাঁরা চূড়ান্ত রিপোর্ট দেবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE