বুলন্দশহরের সেই ঘটনা। ফাইল ছবি.
বুলন্দশহরে পুলিশ অফিসার সুবোধ কুমার সিংহকে কি খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করে মেরেছিলেন সেনাবাহিনীর জওয়ান জিতু ফৌজি? ওই ঘটনার যে সব ভিডিয়ো পুলিশের হাতে এসেছে, তার সবক’টিতেই খুন হওয়ার আগে জিতুকেই সুবোধের সামনে দাঁড়িয়ে তর্কাতর্কি করতে দেখা গিয়েছে। তাই জিতুকেই সম্ভাব্য আততায়ী বলে মনে করছে বুলন্দশহরের পুলিশ। যদিও এর আগে ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে বজরঙ্গ দলের কর্মী যোগেশ রাজের নাম উঠেছিল।
পুলিশ জানাচ্ছে, সেনা জওয়ান জিতুর পোস্টিং ছিল কাশ্মীরে। তাঁর বাড়ি বুলন্দশহরের সেই গ্রামেই, গত সোমবার যেখানে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। দিনকয়েক আগে জিতু কাশ্মীর থেকে এসেছিলেন তাঁর গ্রামে। গত সোমবার বুলন্দশহরের ওই ঘটনার সময় জিতু ঘটনাস্থলেই ছিলেন। ওই হিংসার ঘটনার যে সব ভিডিয়ো রেকর্ডিং পাওয়া গিয়েছে, তাতে জিতুকে দেখা যাচ্ছে পুলিশ অফিসার সুবোধ কুমার সিংহের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে। হিংসার ঘটনার পর সোমবারই তড়িঘড়ি শ্রীনগরে পালিয়ে যান জিতু। বুলন্দশহরের পুলিশ জিতুর খোঁজে কাশ্মীরে গিয়েছে। জিতুকে শুক্রবারই গ্রেফতার করা হতে পারে।
বুলন্দশহরের এক পুলিশ অফিসার অবশ্য এও বলেছেন, ‘‘ওই ভিডিয়ো দেখেই বলা যাচ্ছে না, জিতুই গুলি করে মেরেছে পুলিশ ইনস্পক্টরকে। আরও তদন্তের প্রয়োজন।’’
জঙ্গলে পশুর মাংস পড়ে থাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিংসার জেরে গত সোমবার বুলন্দশহরে গুলি করে খুন করা হয় পুলিশ ইনস্পেক্টর সুবোধ কুমার সিংহকে। মৃত্যু হয় আরও এক জনের। গোড়া থেকেই বজরঙ্গ দলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। তিনি ধরা না পড়লেও পুলিশ ওই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন- ছক কষেই কি হত্যা? সুবোধের বদলি চেয়ে সাংসদকে চিঠি দিয়েছিল বুলন্দশহরের বিজেপি নেতারা
আরও পড়ুন- পুলিশের খাতায় ফেরার, অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ যোগেশ!
ওই ঘটনার বিভিন্ন ভিডিয়ো দেখে পুলিশ জানিয়েছে, সে দিন দ্রুত ছড়িয়ে পড়া হিংসার ঘটনা সামলাতেই সুবোধ বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে গিয়েছিলেন জিতুর গ্রামে। তখনই তাঁদের উপর চড়াও হন গ্রামবাসীরা। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সুবোধকে লক্ষ্য করে হামলাকারীরা বলছেন, ‘‘মারো, ওকে মারো। ওর বন্দুক কেড়ে নাও।’’ এর পরেই সুবোধ-সহ পুলিশকর্মীদের দিকে তেড়ে যেতে দেখা যায় উত্তেজিত জনতাকে। সুবোধকে মাটিতে ফেলে তাঁরা মারধরও করেন। ওই সময়েই সুবোধের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে জিতুকে।
পরে জিতুর মা সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, ‘‘আমার ছেলে এমনটা করেছে, বিশ্বাস করি না। ও কার্গিলে ছিল। তবে ও যদি সত্যিই ওই ঘটনায় জড়িত থাকে, তবে ওর যা শাস্তি হওয়ার, হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy