—ফাইল চিত্র।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য কল্যাণমূলক প্রকল্প ‘আইনত সিদ্ধ’ বলে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র। সরকারের যুক্তি, এই জাতীয় প্রকল্প অসাম্য কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। এর মধ্য দিয়ে হিন্দু বা অন্য কোনও সম্প্রদায়ের অধিকার লঙ্ঘিত হয় না বলেই তাদের মত।
সুপ্রিম কোর্টে সম্প্রতি নীরজশঙ্কর সাক্সেনা নামে এক ব্যক্তি এবং আরও পাঁচ জন একটি পিটিশন জমা দিয়েছিলেন, যার দাবি, ধর্মের ভিত্তিতে কোনও কল্যাণমূলক প্রকল্প থাকা উচিত নয়। এতে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষকে বঞ্চিত করা হয়। তারই জবাবে হলফনামা দিয়ে নিজের বক্তব্য জানাল কেন্দ্র। ঘটনাচক্রে কেন্দ্রে বর্তমান শাসক দলের পক্ষ থেকে অনেক বারই সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করা হয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় কেন্দ্রীয় সরকার সংখ্যালঘু কল্যাণে বিশেষ প্রকল্পের সপক্ষেই যুক্তি সাজিয়েছে।
কেন্দ্রের বক্তব্য, ‘‘এই জাতীয় প্রকল্পের সঙ্গে সংবিধানের সাম্যের নীতির কোনও দ্বন্দ্ব নেই। প্রকল্পগুলি আইনত সিদ্ধ, কারণ তারা মিলনের আদর্শই তুলে ধরে। শিক্ষা, কর্মসংস্থানের সুযোগ, দক্ষতা ও উদ্যোগী মনোভাবের বিকাশ, নাগরিক পরিষেবা ও পরিকাঠামোয় বৈষম্য দূরীকরণই তার লক্ষ্য। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আর্থিক ভাবে অনগ্রসর, পিছিয়ে পড়া শিশু, মহিলা এবং দুঃস্থ ব্যক্তিরাই এই সব প্রকল্পের আওতায় পড়েন। সংখ্যালঘু কল্যাণ মন্ত্রক অসাম্য কমিয়ে আনতেই প্রকল্পগুলি রূপায়ণ করেছে।’’
যদিও নীরজ-সহ আবেদনকারীদের দাবি, সংখ্যালঘু কল্যাণ প্রকল্প আদতে সংবিধানের বিরোধী। ভিন্ন সম্প্রদায়ের একই রকম দুঃস্থ মানুষের মৌলিক অধিকার এতে খর্ব হয়। বিশেষত হিন্দুরা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলেই তাঁদের অভিযোগ। জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন আইন, ১৯৯২ বাতিল করার দাবিও তাঁরা তুলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy