Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪
National News

রাম রহিমের সাজা ঘোষণার সময় কী বলেছেন বিচারক?

ভক্তরা ‘বাবা’কে দেবতার আসনে বসিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই ভক্তদের সঙ্গেই ‘বন্য জন্তুর মতো আচরণ’ করেছেন গুরমিত রাম রহিম সিংহ। তাই আদালতের কাছে সাজা মাফের আশা করতে পারেন না তিনি। ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধানকে সাজা শোনানোর সময় এমনটাই জানিয়েছেন বিচারক জগদীপ সিংহ।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
রোহতক শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৭ ১২:২০
Share: Save:

কয়েদি নম্বর ১৯৯৭। হরিয়ানার রোহতকের জেলে আপাতত এই পরিচয় ‘বাবা’র।

ভক্তরা ‘বাবা’কে দেবতার আসনে বসিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই ভক্তদের সঙ্গেই ‘বন্য জন্তুর মতো আচরণ’ করেছেন গুরমিত রাম রহিম সিংহ। তাই আদালতের কাছে সাজা মাফের আশা করতে পারেন না তিনি। ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধানকে সাজা শোনানোর সময় এমনটাই জানিয়েছেন বিচারক জগদীপ সিংহ।

আরও পড়ুন

বিশ বছর জেল ধর্ষক ধর্মগুরুর

দেশ জুড়ে আলোড়ন তুলেছিল যে ধর্ষণ মামলাগুলি

দু’টি ধর্ষণের দায়ে দশ বছর করে মোট কুড়ি বছরের কারাদণ্ড হয়েছে রাম রহিমকে। সেই সঙ্গে ৩০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানাও দিতে হবে তাঁকে।

সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক সোমবার সেই সাজা শোনানোর সময় আদালতকক্ষেই বসে পড়ে কেঁদে ফেলেন প্রবল রাম রহিম। বিচারকের কাছে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে ক্ষমা প্রার্থনাও করতে থাকেন। কিন্তু, তাতে প্রভাবিত হননি বিচারক। ডেরা প্রধানকে মাফ করার কোনও প্রশ্নই নেই বলে জানিয়ে দেন তিনি। বিচারকের মতে, “এমন এক জন মানুষ যিনি মানবিকতার পরোয়া করেন না। এমনকী, যাঁর মনে কোনও দয়ামায়াও নেই, তিনি মার্জনার যোগ্য নন।”

আরও পড়ুন

আর এক সুপারহিরোর গল্প

বিচারক তাঁর ৯ পাতার রায়ে আরও বলেছেন, “ডেরা সচ্চা সৌদার মতো একটি ধর্মীর প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদে থেকে ভক্তদের সঙ্গে জঘন্য অপরাধ করেছেন তিনি। এর ফলে দেশের ধর্মীয়, পবিত্র, আধ্যাত্মিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলির ভাবমূর্তিতেও ধাক্কা লাগতে বাধ্য।”

সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন মামলার রায় থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বিচারক জানিয়েছেন, ধর্ষণ কেবলমাত্র একটি শারীরিক নির্যাতন নয়। এটি নির্যাতিতার গোটা ব্যক্তিত্বের বিনাশ করে দেয়। সমাজের স্বার্থেই এই ধরনের অপরাধের যোগ্য শাস্তি হওয়া প্রয়োজন বলে মত আদালতের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE