শেষযাত্রায় জনগণের রাষ্ট্রপতি। ছবি: এএফপি।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বিশ্ব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন— প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির স্মৃতিতে শোকবার্তা এসেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। দলমত নির্বিশেষে শোকজ্ঞাপন করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। বিজ্ঞানী-রাষ্ট্রপতিকে সম্মান জানিয়েছে গুগলও। আর ‘জনগণের রাষ্ট্রপতি’কে চোখের জলে বিদায় জানিয়েছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ।
সুদর্শন পট্টনায়ক, বালি ভাস্কর
২০০৫ সালে রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে আমাকে তিন হাজার টাকার চেক দিয়েছিলেন তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি। আমার জীবনের অন্যতম আনন্দের মুহূর্ত ছিল সেটি। এক জন অত্যন্ত ভাল মানুষকে হারালাম আমরা।
হর্ষ মায়ার, অভিনেতা
তাঁর ভূমিকায় সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এর চেয়ে বড় পুরস্কার হয় না। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।
ডি ডি পুরকায়স্থ, এমডি, এবিপি গোষ্ঠী
২০০৬-এর ইনফোকমে উনি এসেছিলেন। সে বারে আমাদের থিম ছিল ‘ইনোভেট টু ডিফারেন্সিয়েট’। মজা করে উনি বলেছিলেন, “ডিফারেন্সিয়েট কেন? ইনোভেট টু ইন্টিগ্রেট নয় কেন?” অঙ্কের মাধ্যমে এতটাই সহজ ভাবে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন কালাম। ছোটদের প্রতি তাঁর অকুণ্ঠ ভালবাসার প্রমাণ পেয়েছিলাম সেই সময়েই।
বারাক ওবামা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট
আব্দুল কালামের প্রয়াণে সমগ্র আমেরিকার তরফ থেকে শোকবার্তা জানাই। কালাম একাধারে ছিলেন এক জন বিজ্ঞানী এবং দেশপ্রেমিক। ১৯৬২ সালে তিনি আমেরিকায় এসেছিলেন। নাসার সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করে মহাকাশ গবেষণায় ভারত-মার্কিন সম্পর্কে এক নতুন দিকের সূচনা করেচিলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ভারতকে পৌঁছে দিয়েছিলেন উন্নতির শিখরে। যথার্থই তিনি ছিলেন জনগণের রাষ্ট্রপতি।
ভ্লাদিমির পুতিন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট
এক জন অসামান্য বিজ্ঞানী এবং আদর্শ রাজনীতিক ছিলেন কালাম। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মজবুত করতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
রণিল বিক্রমাসিংহে, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী
মানবতার স্বার্থে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে ব্যবহারে অগ্রগণ্য ছিলেন আব্দুল কালাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy