প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। খেয়াল করেননি যে তখনও প্রাণের স্পন্দন ছিল তাঁর শরীরে। আর পাঁচটা ‘মৃতদেহের’ মতো তাঁরও ঠিকানা হয়েছিল মর্গ। একটানা সাত ঘণ্টা সেই হাড় কাঁপানো
ঠান্ডায় কাটিয়েও বেঁচে ছিলেন যুবক। পরে ভুল ধরা পড়ায় তাঁকে উদ্ধার করে ফের নিয়ে যাওয়া হয় জেলা হাসপাতালের শয্যায়। তবে এ বার চিকিৎসকেরা চার দিন চেষ্টা চালিয়েও বাঁচাতে পারলেন না ওই যুবককে। মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে শ্রীকেশ কুমার নামে ওই যুবকের।
গত ১৮ নভেম্বর দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের ওই যুবক। হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে দেখে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। ময়না-তদন্তের জন্য সোজা মর্গে পাঠানো হয় তাঁর ‘দেহটি’। তবে পরের দিন সকালে পরিবারের সদস্যদের থেকে ময়না-তদন্তের অনুমতি আদায় করতে মর্গে ডেকে পাঠানোর পর ভাঙে ভুলটি। নজরে আসে বেঁচে আছেন ওই যুবক! সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল শ্রীকেশকে। তবে এ বার সত্যিই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি।
ঘটনার তদন্ত হবে বলে আশ্বাস মোরাদাবাদ জেলা হাসপাতালের। দুর্ঘটনার পরে যে চিকিৎসক প্রথম দেখেন শ্রীকেশকে, তাঁর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে যুবকের পরিবার। তাদের অভিযোগ, ‘‘তিনটে হাসপাতাল ঘুরে শ্রীকেশকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই হাসপাতালে। যে চিকিৎসক তখন ডিউটিতে ছিলেন তিনিই চেকআপ করেন, তবে চিকিৎসা করেননি। বলেন, হদ্স্পন্দন নেই, রক্তচাপও নেই...ও নাকি মারা গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy