—প্রতীকী ছবি।
কোনও সমাজমাধ্যম-মঞ্চে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর জো থাকলে বিজ্ঞাপনদাতা বা ব্যবহারকারীরা তার সঙ্গে নিজেদের জড়াতে চাইবেন না। ইউটিউবও সেই বিষয়ে ওয়াকিবহাল। ফলে ‘ডিপফেক’ ভিডিয়োর সঙ্গে এই মঞ্চের কোনও যোগ নেই। বৃহস্পতিবার এমনটাই দাবি করেছেন ইউটিউবের ভারতের ডিরেক্টর ঈশান জন চট্টোপাধ্যায়।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর সমাজমাধ্যমের মঞ্চগুলিকে আইটি নিয়ম অনুযায়ী তাদের ব্যবহারের নীতি পরিবর্তন করতে সময় বেঁধে দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ২০২২ সালের অক্টোবরে যে তথ্যপ্রযুক্তি বিধির কথা বলা হয়েছিল, এখনও সমাজমাধ্যমের অনেক মঞ্চ সেই মতো তাদের ব্যবহারবিধি তৈরি করে ওঠেনি।
ঈশান বলেছেন, ‘‘সার্বিক ভাবে ভুয়ো তথ্য আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ডিপফেকে আমাদের কোনও লাভের-লাভ বস্তুত নেই। মঞ্চ হিসাবে যাঁদের নিয়ে আমাদের কারবার, তাঁরা মূলত তিন রকমের। দর্শক বা ভিডিয়ো যাঁরা দেখেন। ক্রিয়েটর, অর্থাৎ যাঁরা ভিডিয়ো তৈরি করে প্রকাশ করেন। আর বিজ্ঞাপন দেন যাঁরা। তাঁদের কেউই এমন কোনও মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইবেন না, যারা ভুয়ো খবর বা ভুয়ো তথ্যকে ছাড় দেয়।’’
সরকারের নীতির সঙ্গে ইউটিউবের উদ্দেশ্যের খুবই সামাঞ্জস্য রয়েছে বলে দাবি করে ঈশান আরও বলেছেন, ‘‘স্থানীয় সমস্ত আইনের সঙ্গে আমরা সঙ্গতি বজায় রেখে চলি। এই ধরনের কোনও প্রসঙ্গ উঠে আসতে থাকলে সে ব্যাপারে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রাখা হয়।’’ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের নীতি লঙ্ঘন করলে সেই ভিডিয়ো মুছে দেওয়া হয়। আর বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে প্রকাশিত ভিডিয়ো তারা ব্যবহারকারীদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy