—ফাইল চিত্র।
যুবক-যুবতীদের ফুসলিয়ে আইএস-এ যোগ দেওয়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার হলেন আরশিদ কুরেশি নামে এক ইসলামি ধর্ম প্রচারক। অভিযোগ, কুরেশি বিতর্কিত ইসলামি ধর্ম প্রচারক জাকির নাইকের ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত। সন্ত্রাস দমনকারী বিশেষ দল এবং কেরল পুলিশের যৌথ উদ্যোগে বুধবার রাতে তাঁকে নভি মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়। কেরল থেকে নিখোঁজ এক মহিলার ভাইয়ের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
কুরেশির বিরুদ্ধে অভিযোগ, কেরলের একাধিক ছেলে-মেয়ের মগজধোলাই করে তাঁদের আইএসে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত করেছেন। জাকির নাইকের ফাউন্ডেশনের সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র প্রমাণিত হলে এটাই হবে এই ফাউন্ডেশনের প্রথম গ্রেফতার।
ইতিমধ্যেই কেরল থেকে ২১জনের নিখোঁজ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাঁরা আইএস-এ যোগ দিয়েছেন। কেরল থেকে নিখোঁজ মেরিন ওরফে মরিয়ম এবং তাঁর স্বামী বেসটিন। মেরিনের ভাই ইবিন জেকব পুলিশকে জানিয়েছিলেন, বেসটিন এবং কুরেশি তাঁকে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে চেয়েছিলেন। ২০১৪ সালে বেসটিন জোর করে তাঁকে কেরল থেকে মুম্বই এনে কুরেশির সঙ্গে দেখাও করান। মুম্বইয়ে নিজের ফ্ল্যাটে তাঁকে নিয়ে যান কুরেশি। ইসলাম ধর্মের ছোটখাটো পাঠও দেন। কুরেশি তাঁকে জাকির নাইকের ফাউন্ডেশনেও ভর্তি হতে বলেন। কিন্তু বিষয়টি পছন্দ না হওয়ায় কেরলে ফিরে আসেন ইবিন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই কেরল পুলিশ কুরেশি এবং বেসটিনের খোঁজ করতে শুরু করে।
বাংলাদেশে গুলশনে জঙ্গি হামলার পর বিতর্কিত ইসলামি ধর্ম প্রচারক জাকির নাইকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগ ওঠে। শুরু হয় তদন্তও। বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর পিস টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার। দেশে ফিরলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে এই ভয়ে তিনি এখন সৌদি আরবেই রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy