কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ব্যুরোর (আইবি) প্রধান হলেন দীনেশ্বর শর্মা। সৈয়দ আসিফ ইব্রাহিমের পরে এই পদের দায়িত্ব নিলেন তিনি। ১ জানুয়ারি ইব্রাহিম অবসর নেবেন। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এখন ‘অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি’ হিসেবে কাজ করবেন শর্মা। নতুন বছরের গোড়ায় প্রধানের দায়িত্ব নেবেন তিনি।
১৯৭৯ ব্যাচের আইপিএস শর্মা এখন আইবি-রই বিশেষ ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। দু’বছর প্রধানের পদে থাকবেন তিনি। সম্প্রতি বেশ কিছু বিতর্কের মধ্যেই সিবিআই প্রধান পদে রঞ্জিত সিন্হার মেয়াদ শেষ হয়। সে ক্ষেত্রেও ওই সংস্থারই বিশেষ ডিরেক্টর পদে থাকা অনিলকুমার সিন্হাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, সিবিআই প্রধান হতে গেলে ওই সংস্থায় একটি নির্দিষ্ট সময় কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নরেন্দ্র মোদী সরকার সব গোয়েন্দা সংস্থার ক্ষেত্রেই ওই নির্দেশ মেনে চলার চেষ্টা করছে।
তা ছাড়া সংস্থার বাইরে থেকে প্রধানের পদে কাউকে নিয়োগ করলে অনেক ক্ষেত্রেই সংস্থার মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়। গুপ্তচর সংস্থা র’-এর ক্ষেত্রে এই ধরনের অসন্তোষের নজির রয়েছে। তাই সংস্থারই অন্য শীর্ষ কর্তাকে প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা তুলনামূলক ভাবে নিরাপদ বলে মনে করছে মোদী সরকার।
কখনওই খুব বেশি প্রচারের আলোয় আসা পছন্দ করেন না শর্মা। তবে সরকারি সূত্রে খবর, কাশ্মীর, উত্তর-পূর্ব ভারত-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কাজ করেছেন তিনি।
সরকারি সূত্রে খবর, আইবি প্রধানের পদের দৌড়ে ছিলেন সংস্থার তিন বিশেষ ডিরেক্টর শর্মা, অশোক প্রসাদ ও ডি পি সিন্হা। সরকারি সূত্রে খবর, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে শর্মার অভিজ্ঞতার জোরে তিনি দৌড়ে এগিয়ে যান। ১৯৯০-এর দশকে তিনি নিজে থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।
তা ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের মতো শর্মাও কেরল ক্যাডারের অফিসার। রাজ্য পুলিশের ডিজি-দের কয়েকটি সম্মেলনে কেরলে মুসলিম মৌলবাদীদের গতিবিধি নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আইবি প্রধানের পদে কেরল ক্যাডারের অফিসার নিয়োগের সময়ে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা।
সম্প্রতি বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণে আল-কায়দার ছায়া দেখা গিয়েছে। ভারতকে নিশানা করার কথা একটি ভিডিওতে ঘোষণা করেছেন আল-কায়দা প্রধান আয়মান অল জাওয়াহিরিও। আইএসে ভারতীয় যুবকদের যোগ দেওয়া ও বেঙ্গালুরুতে আইএসের অনলাইন প্রচারকের গ্রেফতারির খবরও গোয়েন্দাদের চিন্তা বাড়িয়েছে। তাই নয়া আইবি প্রধানের সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে কর্মীর অভাবের মতো আইবি-র অভ্যন্তরীণ সমস্যা। সমস্যার সমাধান করতে শর্মাকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে বলে মানছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy