বিতর্কিত বিষয় থাকায় মুক্তি আটকে গেল পঞ্জাবি ছবি ‘কম দি হিরে’-র।
আগামিকাল দেশের একশোটি হলে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ওই ছবির। কিন্তু প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর তিন হত্যাকারীর জীবন নিয়ে তৈরি ওই ছবিতে বিতর্কিত বিষয় রয়েছে জেনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ফের সেটি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, ওই ফিল্মে এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা আপত্তিজনক। তাদের মনে হয়েছে, সে সব দেখানো হলে পঞ্জাব ও উত্তর ভারতে পরিস্থিতি অশান্ত হতে পারে।
ইন্দিরা গাঁধীর তিন হত্যাকারী বিয়ন্ত সিংহ, সতওয়ন্ত সিংহ ও কেহর সিংহের জীবন নিয়ে তৈরি ওই ছবির প্রযোজক প্রদীপ বনশল। প্রাথমিক ভাবে ছবিটিতে ছাড়পত্র দিয়েছিল সেন্সর বোর্ড। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের দাবি, সম্প্রতি সিবিআই সেন্সর বোর্ডের সিইও রাকেশ কুমারকে ধরার পরে ওই ছবি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। ধৃত রাকেশ নাকি পুলিশকে জানিয়েছে, ছবিতে বিতর্কিত বিষয় থাকলেও এক লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে সেটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। রাকেশের ওই জবানবন্দির পরেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ছবিতে ওই তিন হত্যাকারীকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ভূমিকার প্রশংসাও করা হয়েছে। মন্ত্রকের আশঙ্কা, সত্যিই যদি তা দেখানো হয়ে থাকে, তা হলে ফের পঞ্জাব ও দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে মন্ত্রক পঞ্জাবি ছবিটি নতুন করে খতিয়ে দেখার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছে।
ছবিটিতে বিতর্কিত বিষয় থাকায় ইতিমধ্যেই সেটির প্রচারে নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছে পঞ্জাবের কংগ্রেস ও বিজেপি নেতৃত্ব। প্রযোজক প্রদীপ বনশল অবশ্য দাবি করছেন, “এই বিতর্ক অর্থহীন। গোটা ছবি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি। বিচারপতি ঠক্কার কমিশন ইন্দিরা গাঁধীর হত্যার তদন্তের যে রিপোর্ট দিয়েছিল, অনুসরণ করা হয়েছে সেটাই। ছবিতে কোনও সম্প্রদায়কেই হেয় করা হয়নি। কেউ কেউ ছবি না দেখেই অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy