Advertisement
১৭ মে ২০২৪

গুজরাত ডায়েরি

ভাইব্র্যান্ট গুজরাতের আসর বসেছে যেখানে, সেই মহাত্মা মন্দিরে ঢুকলেই নজরে পড়বে দু’টো দোকান। ম্যানিকুইনে পরানো নরেন্দ্র মোদীর পছন্দের কুর্তা-জ্যাকেট। আর শিল্প সম্মেলনের আসরেই দেদার বিকোচ্ছে সেই সব পোশাক। বাগ্মী মোদীর পাশাপাশি তাঁর হাত-কাটা জ্যাকেটেও মন মজেছে বিদেশি অভ্যাগতদের। নিজের মাপে মোদী-কুর্তা বানাতে তাই সম্মেলনে এসেই এক বার এই দোকানে ঘুরে যাচ্ছেন তাঁরা। মোদীর বেশভূষার পরিকল্পনা যাঁদের, এই দোকান দিয়েছেন সেই ডিজাইনাররাই।

মোদী-কুর্তার দোকানে মাপ দিচ্ছেন ক্রেতা।  নিজস্ব চিত্র

মোদী-কুর্তার দোকানে মাপ দিচ্ছেন ক্রেতা। নিজস্ব চিত্র

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৫৮
Share: Save:

মন মজেছে মোদী-বেশে

ভাইব্র্যান্ট গুজরাতের আসর বসেছে যেখানে, সেই মহাত্মা মন্দিরে ঢুকলেই নজরে পড়বে দু’টো দোকান। ম্যানিকুইনে পরানো নরেন্দ্র মোদীর পছন্দের কুর্তা-জ্যাকেট। আর শিল্প সম্মেলনের আসরেই দেদার বিকোচ্ছে সেই সব পোশাক। বাগ্মী মোদীর পাশাপাশি তাঁর হাত-কাটা জ্যাকেটেও মন মজেছে বিদেশি অভ্যাগতদের। নিজের মাপে মোদী-কুর্তা বানাতে তাই সম্মেলনে এসেই এক বার এই দোকানে ঘুরে যাচ্ছেন তাঁরা। মোদীর বেশভূষার পরিকল্পনা যাঁদের, এই দোকান দিয়েছেন সেই ডিজাইনাররাই।

বেশি হাততালি

প্রথম দিনের শেষে সব থেকে বেশি হাততালি কুড়োলেন কে? উত্তর একটাই শেরিং তোবগে। সবচেয়ে সুখী দেশ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তিনিই। ভারতে ধর্মস্থান যদি বারাণসী, বুদ্ধগয়া হয়, শেরিংয়ের কথায় শিল্পের পীঠস্থান তা হলে গুজরাত। ভাইব্র্যান্ট গুজরাতের আসরে দাঁড়িয়েই তাঁর দেশে যাওয়ার আহ্বান জানালেন শিল্পপতিদের। বললেন ভুটানের মোট সম্পদের থেকে হয়তো আমন্ত্রিতদের অনেকের ব্যক্তিগত সম্পদ অনেকটাই বেশি। কিন্তু তাঁদের বৈশিষ্ট্য, শিল্পের সঙ্গে মূল্যবোধের মিশেল। সে দেশের উদার নীতি আর ভারতের বাজার, শিল্পপতিদের কাছে নয়া দিগন্ত খুলে দেবে বলেই বিশ্বাস তাঁর। স্বপ্ন দেখিয়ে শেরিং যখন মঞ্চ ছাড়ছেন, আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন দর্শকদের সকলেই।

আসন-বিভ্রাট

বিশাল মঞ্চে বসার আয়োজন ৪০ জন শিল্পপতির। কিন্তু আমন্ত্রিতের তালিকায় যে আছেন মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরিও! তিনি পৌঁছনোর আগে তাই নিরাপত্তার খুঁটিনাটি দেখে গিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দারা। কেরির পিছনে ১৮ জনের বসার জায়গা দেখেই কপালের ভাঁজ গভীর হয়েছে তাঁদের। মার্কিন গোয়েন্দাদের ওজর-আপত্তিতেই শেষে মঞ্চে বসতে পেলেন না তাঁরা। এই গেরোয় বাদ পড়লেন বাঙালি শিল্পপতি প্রসূন মুখোপাধ্যায়ও। তবে মঞ্চে জায়গা না পেলেও দর্শকাসনের প্রথম সারিতেই অবশ্য বসানো হয় তাঁদের।

মেক ইন ইন্ডিয়া

প্রধানমন্ত্রীর মুখে বারে বারেই শোনা যায় এই শব্দবন্ধ। এ বার তাঁর নিজের রাজ্যে শিল্প সম্মেলনের আসরে এই মেক ইন ইন্ডিয়ার দৌলতেই বাজিমাত করলেন এক গ্লোবাল সিইও। তিনি অজয় সিংহ বাঙ্গা। মাস্টার কার্ডের চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসারের গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধে। ভারত-মার্কিন বাণিজ্য পরিষদেরও প্রধান। বাঙ্গার কথায়, “মেক ইন ইন্ডিয়ার প্রতীক আমি।” গুজরাতের মাটিতে বড় হয়েছেন। ভাইব্র্যান্ট গুজরাতের আসরে বললেন, “আমার শিকড় এই আমদাবাদে। ভারত যে কী দিতে পারে, সকলের সামনে সেই উদাহরণ তো আমি নিজেই।”

কেম ছো

প্রত্যেকেই নিজের ক্ষেত্রে সেরা। কিন্তু এই শব্দগুলোর সঙ্গে তাঁদের পরিচয় যে কয়েক ঘণ্টা আগেও ছিল না, তা বলাই যায়। রবিবার বক্তৃতায় সেই গুজরাতি বুলিতেই দর্শকদের মন জয় করলেন আমন্ত্রিতদের অধিকাংশ। কেউ শুরু করলেন, ‘কেম ছো গুজরাতবাসী’ দিয়ে। কারও আবার কথার শেষে এল গুজরাতি ছোঁয়া। আর বিদেশি অভ্যাগতদের মুখে আধো আধো গুজরাতি শুনে ঘনঘন হাততালিতে ফেটে পড়ল মহাত্মা মন্দির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

vibrant gujarat narendra modi gujarat diary
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE