নিজের ‘দুর্গ’ দখলে রাখতে ফের ভোট-যুদ্ধে নামছেন শিবু সোরেন।
লোকসভা নির্বাচনে তা-ই দুমকা কেন্দ্রেই লড়বেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) শীর্ষ নেতা। আজ দলের তরফে এমনই ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে আট বার তাঁর ‘দুর্গ’ হিসেবে পরিচিত দুমকায় প্রার্থী হচ্ছেন জেএমএম-এর প্রবীণ ‘গুরুজি’।
গত বছর ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠনের সময় জেএমএম সমঝোতা করেছিল, রাজ্যের ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৪টি আসনে তারা লড়বে। ১০টি পাবে কংগ্রেস।
আজ তা মেনেই জেএমএম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। দলের মহাসচিব সুপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, দুমকায় প্রার্থী হচ্ছেন দলীয় সভাপতি। রাজমহলে লড়বেন বিজয় হাঁসদা। গিরিডিতে জগন্নাথ মাহতো। বর্তমানে তিনি গিরিডির ডুমরির বিধায়ক।
দলীয় সূত্রের খবর, জামশেদপুরেও প্রার্থী দেবে জেএমএম। তবে কারও নাম আজ ঘোষণা করা হয়নি। দলীয় সূত্রের খবর, বর্তমানে জামশেদপুরে ‘ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা’র সাংসদ অজয় কুমারকে নিয়ে চিন্তায় রয়েছে মোর্চা নেতৃত্ব। জামশেদপুরের ওই সাংসদের বিরুদ্ধে কাকে প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
প্রয়াত জেএমএম নেতা সুধীর মাহতোর স্ত্রী সবিতাকে জামশেদপুরে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। কয়েক দিন আগে সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। কিন্তু হেমন্তের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন সবিতাদেবী।
এ দিকে, রাজ্যের ৮টি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে সিপিআই (এমএল লিবারেশন)। আজ দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এ কথা জানিয়েছেন। দীপঙ্করবাবু বলেন, “রাজমহল আসনটি সিপিএমকে ছাড়া হয়েছে। ধানবাদে আমরা মার্কসিস্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটিকে (এমসিসি) সমর্থন করব।” বাকি ৪টি আসনে সম-মনোভাবাপন্ন দলকে তাঁরা সমর্থন করবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্য দিকে, আজ দুপুরে রাজ্য সরকারের সমর্থক ‘ঝাড়খণ্ড পার্টি’র তরফে জানানো হয়, তৃণমূলের সমর্থনে খুঁটিতে প্রার্থী হবেন তাদের দল নেতা এনোস এক্কা। তবে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় জানান, এনোসের সঙ্গে কথা চলছে। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy