সমুদ্রতটে পড়ে রয়েছে লাল জামা পরা ছোট্ট ছেলেটার নিথর দেহ। সিরিয়ার শরণার্থী পরিবারের ওই ছেলেটির নাম এখন সবাই জানে। আয়লান কুর্দি। তার ছবি নিয়ে তোলপাড় হয়েছে গোটা বিশ্বে।
কানাডার দম্পতি সামান্থা জ্যাকসন এবং ফারজিন ইউসেফও শরণার্থী-সঙ্কটের এমন ভয়ঙ্কর ছবি দেখে স্থির বসে থাকতে পারেননি। ২০১৪ সালে বাগদান-পর্ব সেরে ফেলার পরে এ বছরে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তাঁদের। ১৩০ জনের অতিথি তালিকা, বিয়ের জন্য অভিজাত জায়গা— ঠিক হয়ে গিয়েছিল সবই। কিন্তু আয়লানের ছবি দেখার পরে সেই পথে আর এগোতে পারেননি সামান্থা-ফারজিন। টরন্টোর একটি ছোট হল-এ গত মাসে বিয়েটা সেরে ফেলেছেন তাঁরা। পরিকল্পনামাফিক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে যে বিপুল অর্থব্যয় হতো, তার গোটাটাই শরণার্থীদের জন্য দিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। একটি সংবাদ চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সামান্থা বলেছেন, ‘‘সেপ্টেম্বরেই বিয়ের সব প্ল্যান হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আয়লান কুর্দির ছবিটা দেখার পরে বুঝতে পেরেছিলাম পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ। তার পরে আর অত খরচ করে বিয়ের ইচ্ছেটাই ছিল না। বরং মনে হয়েছিল দ্রুত ইতিবাচক কিছু করা দরকার।’’ শুধু নিজেদের বিয়ের টাকা নয়, প্রতিবেশীদের কাছ থেকেও অর্থ সংগ্রহ করে ওঁরা সিরীয় শরণার্থী পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু বিয়েটা যে আশামতো হলো না? ‘‘না বিয়েটা একদম ঠিকঠাক হয়েছে। বিবাহিত জীবন শুরুর জন্য এর চেয়ে সঠিক পথ আর কিছুই হতো না—’’ বললেন সামান্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy