পেশায় নৃতত্ত্ববিদ। গবেষণা করেছেন লিঙ্গ এবং মানুষের সন্তানধারণ ক্ষমতা নিয়ে। গবেষণার একটা প্রধান বিষয় ছিল এডস। নিজের লিঙ্কড-ইন প্রোফাইলে লিখেছিলেন, “এই পৃথিবীতে মানুষ যাতে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে, ভাল ভাবে কাজ করতে পারে এবং একে অপরকে ভালবেসে যেতে পারে, তার জন্য সারা জীবন কাজ করে যাব আমি।” কিন্তু তা আর হল না। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউক্রেনের মাটিতে আছড়ে পড়েছিল যে এমএইচ ১৭, তার ২৯৫ জন আরোহীর মধ্যে ছিলেন ডাচ নাগরিক মার্টিন ডি শুটারও। আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘এইচআইভি এডস অ্যালায়েন্স’ আজ এই খবর জানিয়েছে।
শুধু মার্টিন নন। অভিশপ্ত বিমানটিতে ছিলেন ১০৮ জন প্রতিনিধি। তাঁদের মধ্যে ছিলেন গবেষক, বিজ্ঞানী, চিকিৎসক এবং এডস নিয়ে কাজ করেছেন এমন বহু মানুষ। মেলবোর্নে রবিবার থেকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ২০তম আন্তর্জাতিক এডস সম্মেলন। সেই সম্মেলনেই যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁদের।
মৃতদের মধ্যে ছিলেন আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জোয়েপ ল্যাঙ্গ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মুখপাত্র ও বিবিসি-র প্রাক্তন সাংবাদিক গ্লেন টমাস। ২০০২ সাল থেতে ২০০৪ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক এডস সোসাইটির সভাপতি ছিলেন জোয়েপ। এইচআইভি সংক্রমণ রুখতে কাজ করে গিয়েছেন মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক এডস সোসাইটির তরফে ক্রিস বেইরার জানাচ্ছেন, জোয়েপের মৃত্যুতে এডস আন্দোলন বড় রকমের ধাক্কা খেল।
কিছু দিন আগেই মারা গিয়েছেন হু-র মুখপাত্র গ্লেন টমাসের বাবা। গত কাল গ্লেনের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে বিপর্যস্ত তাঁর যমজ বোন ট্রেসি। তিনি বললেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সঙ্গে ভাই কাজ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জেও।”
অস্ট্রেলীয় মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রোফেসর ব্রায়ান আউলার জানিয়েছেন, এমএইচ ১৭-এ থাকা ১০৮ জনের মৃত্যুতে বিশাল ক্ষতি হল এডস সংক্রান্ত যাবতীয় গবেষণার।
এই ফাঁক পূরণ করতে বহু বছর অপেক্ষা করতে হবে, মন্তব্য করেন আউলার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy