সেই কৃষ্ণাঙ্গ ডেমোক্র্যাট।
তিনি কৃষ্ণাঙ্গ হয়েও চান না অন্যান্য দেশ থেকে আসা কালো চামড়ার মানুষরা আমেরিকায় থাকুন!
তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বেশ সামনের সারির নেতা হয়েও খুব পছন্দ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ট্রাম্পের অভিবাসন ফতোয়াটি খুব মনে ধরেছে তাঁর।
তিনি প্রকাশ্যেই কারণে, অকারণে প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের। আর প্রকাশ্যে, ফেসবুকে তাঁর রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার বিরোধীদের, সমালোচকদের হুমকি দেন, যখন-তখন। ভাষা অভব্য হলেও কিছুই যায় আসে না তাঁর। এটাই তাঁর স্বভাব, এটাই তাঁর কেতা! নিন্দুক, সমালোচকরা বলেন, এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তিনি ‘গুড ফলোয়ার’!
উইসকনসিনের মিলওয়াউকি কাউন্টির শেরিফ ডেভিড ক্লার্ক জুনিয়র এক জন অ্যাফ্রো-আমেরিকান, যিনি সব সময় পরে থাকেন কাওবয় হ্যাট আর খুব ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন!
সেই কৃষ্ণাঙ্গ ডেমোক্র্যাট ডেভিড ক্লার্ক জুনিয়র এ বার তাঁর এলাকায়, উইসকনসিনের মিলওয়াউকি কাউন্টিতে অভিবাসী খেদানোর লক্ষ্যে নেমে পড়েছেন এক অভিনব কর্মযজ্ঞে। তাঁর দফতরের ৮০০ কর্মচারীর একটি বড় অংশকেই নির্দেশ দিয়েছেন, ‘‘যাও, কোথায়, কোন এলাকার কোন বাড়িতে রয়েছেন অভিবাসীরা, তার খোঁজখবর নিয়ে এস।’’ তাঁর দফতরের কর্মচারীদের একটি বড় অংশকে নিয়ে বানিয়ে ফেলছেন ‘ইমিগ্রেশন ডিটেকশন ফোর্স’ (অভিবাসী তল্লাশি বাহিনী)।
দিকে দিকে এই বার্তা রটি গেছে ক্রমে, তিনি ‘ট্রাম্পের ডুপ্লিকেট’। বা ‘সেকেন্ড এডিশন’!
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমার একটা দায়িত্ব আছে বলে মনে করি। বিদেশি অপরাধীতে যে ভাবে ভরে গিয়েছে গোটা আমেরিকা, তাতে এই কাজটা না করলে আইনরক্ষক হিসাবে আমার দায়িত্ব আমি ১০০ শতাংশ পালন করতে পারব না।’’
আরও পড়ুন- লন্ডন হামলার দায় নিল আইএস, গ্রেফতার ৭
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy