Advertisement
১৬ মে ২০২৪

সঙ্গীকে খুন করে তাঁর মাংস রান্না করে খেয়েছিলেন ইনি

নিজের সঙ্গীকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে রান্না করে খেয়েছিলেন জার্মানির এক ব্যক্তি। ২০০১ সালের ঘটনা। এক ডক্যুমেন্টারিতে সম্প্রতি এই ঘটনার কথা স্বীকার করেন আর্মিন মিবিস নামে ওই ব্যক্তি।

এই সেই ব্যক্তি আর্মিন মিবিস।

এই সেই ব্যক্তি আর্মিন মিবিস।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১৩:৪৯
Share: Save:

নিজের সঙ্গীকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে রান্না করে খেয়েছিলেন জার্মানির এক ব্যক্তি। ২০০১ সালের ঘটনা। এক ডক্যুমেন্টারিতে সম্প্রতি এই ঘটনার কথা স্বীকার করেন আর্মিন মিবিস নামে ওই ব্যক্তি। আর্মিন জানিয়েছেন, এই সবই হয়েছে তাঁর সঙ্গী বার্নার্ড ব্র্যান্ডেসের সহমতে। এই ঘটনা যখন প্রকাশ্যে আসে পুরো দুনিয়ায় হইচই পড়ে গিয়েছিল।

কী ভাবে সম্ভব হল এ ধরনের পৈশাচিক ঘটনা?

বার্নার্ডের সঙ্গে আর্মিনের আলাপ একটি ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি লেখাকে ঘিরে।

আর্মিন জানিয়েছেন, নিজেকে জ্যান্ত খাওয়ার কথা লিখে বার্নার্ড সেটিকে একটা ক্যানিবাল ওয়েবসাইটে পোস্ট করেন। ওই পোস্টে লেখা ছিল, “ডিনার-অর ইওর ডিনার অ্যান্ড অফারিং দ্য চান্স টু ইট মি অ্যালাইভ।” এই লেখার সূত্র ধরেই বার্নাডের সঙ্গে যোগাযোগ হয় আর্মিনের। ক্রমে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। মায়ের মৃত্যুর পর থেকে আর্মিনের মধ্যে অস্বাভাবিকতা ধরা পড়ে। বার্নার্ডের প্রস্তাবটা পাওয়ার পরই তিনি রাজি হয়ে যান। আর্মিন জানিয়েছেন, সে দিনের ডিনার ছিল মনে রাখার মতো।

কী ভাবে এই নারকীয় ঘটনা ঘটনালেন আর্মিন?

ওই ডক্যুমেন্টারিতে আর্মিনের স্বীকার করেন প্রথমে বার্নার্ডকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। তার পর কোমরের উপর থেকে বার্নার্ডের ধড় আলাদা করে দেন। মারার আগে বার্নার্ডকে একটি উপন্যাস পড়েও শোনান আর্মিন।

বার্নার্ডকে মেরে তার মাংস খাওয়ার স্বাদের কথাও বলেছেন বার্নার্ড। তিনি জানান, সে দিন রাতে মোমবাতি দিয়ে ঘর সাজান। তার পর বার্নার্ডের কোমরের থেকে মাংসা কেটে সেটাকে ফ্রাই করে খান আর্মিন। প্রথমে একটা অদ্ভুত স্বাদ লেগেছিল তাঁর। তার পর তাঁর মনে হয়েছিল স্বাদটা ঠিক শুয়োরের মাংসের মতো লাগছে। এর পর বার্নার্ডের দেহাংশ ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলেন আর্মিন। ফ্রিজ থেকে বের করে করে খেতেন বার্নার্ডের দেহাংশ। এই ঘটনার কথা প্রথম জানতে পারে আর্মিনের প্রতিবেশী এক অস্ট্রিয়ার এক ছাত্র। পুলিশকে খবর দেন তিনি। পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায় আর্মিনের বাড়িতে। তখন ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হয় বার্নার্ডের মাংস। কিন্তু ওই দিন পুলিশের কাছে আর্মিন দাবি করেছিলেন ফ্রিজে রাখা মাংস শুয়োরের। তদন্ত করে জানা যায়, নিজের সঙ্গীকেই খুন করে খেয়েছিলেন আর্মিন। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে। বিচার চলাকালীন আর্মিন জানিয়েছিলেন, তরুণ অবস্থা থেকেই মানুষের মাংস খাওয়ার একটা প্রবল ইচ্ছা ছিল। আর সেই সুযোগটা চলেও আসে ওই ক্যানিবাল ওয়েবসাইটে বার্নার্ডের দেওয়া প্রস্তাবে।

আরও পড়ুন...

নিজের সেনাবাহিনীর প্রধানকে মেরে ফেললেন কিম জং উন!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE