সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে সম্প্রতি একাধিক বার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রশাসন। এর মধ্যেই আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত আফগানিস্তানের দূত জন আর বাস বলেছেন, আফগানিস্তানে এমন কিছু সমস্যা রয়েছে, যার উৎস পাকিস্তান। তাঁর বক্তব্য, পাকিস্তানের মদতেই গোটা আফগানিস্তানে তালিবান ইন্ধন পাচ্ছে। বাসের আফগানিস্তান যাওয়া নির্ভর করছে মার্কিন সেনেটের সিদ্ধান্তের উপর। কিন্তু তাঁর এই মন্তব্যে দু’দেশের সম্পর্ক আরও তিক্ত হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। বাগ্যুদ্ধে থেমে নেই ইসলামাবাদও। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খুররম দস্তগীরও সম্প্রতি সাংবাদিকদের সাফ বলেছেন, ‘‘আমেরিকাকে খুশি রাখাটা আমাদের কাজ নয়।’’
ঝামেলার সূত্রপাত আমেরিকার নয়া আফগান নীতি ঘোষণার সময় থেকে। সেই সময় সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার প্রশ্নে চাঁচাছোলা ভাষায় পাকিস্তানকে বিঁধেছিলেন ট্রাম্প। পাকিস্তানকে আর্থিক অনুদান বন্ধের হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসনও। সরাসরি তখন মুখ খোলেনি ইসলামাবাদ। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগেই এক মার্কিন কূটনীতিকের পাকিস্তান সফর পিছিয়ে দিয়েছিল ইসলামাবাদ। সরকারি ভাবে সেই সফর বাতিলের কারণ ব্যাখ্যাও করেনি পাক সরকার। এই অবস্থায় সামনের সপ্তাহে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খকান আব্বাসি এবং বিদেশমন্ত্রী খাজা আসিফ। সেখান থেকে ওয়াশিংটন যাওয়ার কথা আব্বাসির। মার্কিন বিদেশসচিবের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে তাঁর।
সম্প্রতি ভারতকে ২২টি গার্ডিয়ান ড্রোন বেচেছে আমেরিকা। আজ তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইসলামাবাদ। পাক বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের বক্তব্য, এ ভাবে আমেরিকা ভারতকে উন্নত সামরিক প্রযুক্তি সরবরাহ করলে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক ভারসাম্য নষ্ট হতে বাধ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy