শন স্পাইসারের (ডান দিকে) জায়গায় এলেন অ্যান্থনি স্কারামুচ্চি।
অর্থলগ্নি সংস্থার প্রাক্তন কর্তা অ্যান্থনি স্কারামুচ্চিকে হোয়াইট হাউসের ডিরেক্টর অব কমিউনিকেশনস পদে নিয়োগ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকালই প্রচারসচিব পদ থেকে শন স্পাইসারের ইস্তফার খবর প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। প্রশাসনে এই রদবদলের ফলে ট্রাম্প আরও বেকায়দায় পড়তে পারেন বলে মনে করছেন অনেকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে রাশিয়ার প্রভাব খাটানোর চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে তদন্তে নেমেছে মার্কিন কংগ্রেস। এখনও নিজের কোনও নীতি মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসে পাশ করাতে পারেননি ট্রাম্প। তার উপরে বার বার আক্রমণ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একাংশের সঙ্গে সম্পর্ক একেবারে বিগড়ে ফেলেছেন প্রেসিডেন্ট। ফলে ট্রাম্প ইতিমধ্যেই যথেষ্ট প্যাঁচে।
ট্রাম্প জমানার শুরুতে এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রেসিডেন্টের পক্ষে জোরদার সওয়াল করেছিলেন শন স্পাইসার। কিন্তু পরের দিন ট্রাম্পের শপথের সময়ে সবচেয়ে বেশি ভি়ড় হয়েছে বলে দাবি করায় সমস্যায় পড়েন তিনি। তার পরে তাঁর সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে সংবাদমাধ্যম, এমনকী ইউটিউবেও ব্যঙ্গবিদ্রুপ হয়েছে। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, ফলে ট্রাম্পের পছন্দের তালিকায় ক্রমশ নীচের দিকে নেমেছেন স্পাইসার। তবে তিনি যে এখনই ইস্তফা দেবেন তা ভাবেননি অনেকেই।
একই ভাবে ‘ডিরেক্টর অব কমিউনিকেশনস’ হিসেবে অ্যান্থনি স্কারামুচ্চির নিয়োগেও বিস্মিত মার্কিন রাজনীতিকদের বড় অংশ। কারণ, স্কারামুচ্চি কখনও রাজনীতি করেননি। মুখপাত্রও ছিলেন না। তবে অর্থলগ্নি সংস্থার কর্তা হিসেবে সংবাদমাধ্যমে পরিচিত মুখ তিনি। অনেক দিন ধরেই ট্রাম্প প্রশাসনের কোনও পদে তাঁর নিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা চলছিল। মে মাসের শেষে ‘ডিরেক্টর অব কমিউনিকেশনস’ পদ থেকে ইস্তফা দেন মাইক ডাবকে। স্পাইসারের ইস্তফার পরে আপাতত প্রচারসচিবের পদও শূন্য। ফলে স্কারামুচ্চির পক্ষে সংবাদমাধ্যমকে সামলানো কঠিন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy