চিনের বিরুদ্ধে পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা করে আমেরিকার সঙ্গে যৌথ ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কর্মসূচি তাইওয়ানের। আমেরিকার কাছ থেকে কেনা অ্যান্টি-মিসাইল ব্যবস্থার পরীক্ষামূলক ব্যবহার করতে চলেছে তাইওয়ান। চিনের সঙ্গে সম্পর্ক যখন তলানিতে, ঠিক সেই মুহূর্তে আমেরিকার কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র কিনে তাইওয়ান এই হুঙ্কার ছাড়ার প্রস্তুতি নেওয়ায়, বেজিং-তাইপেই সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে।
আমেরিকার কাছ থেকে প্যাট্রিয়ট অ্যাডভান্সড ক্যাপাসিটি-৩ (পিএসি-৩) কিনেছে তাইওয়ান। এই পিএসি-৩ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝপথেই থামিয়ে দেওয়া যায়। তাইওয়ানের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক কোনও কালেই মধুর নয়। জন্মলগ্ন থেকেই চিনের কমিউনিস্ট সরকারের সঙ্গে তাইওয়ানের বিরোধ রয়েছে। তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিও দেয় না চিন। দক্ষিণ চিন সাগর ইস্যুতে চিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে অসন্তোষ তৈরি হওয়ার পর তাইওয়ানও স্বাভাবিক ভাবেই চিনের বিরোধী শিবিরেই যোগ দিয়েছে। তাতে তলানিতে থাকা সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। চিন তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে একাধিক বার।
চিনা হামলার আশঙ্কা থাকার জেরেই আমেরিকার কাছ থেকে পিএসি-৩ অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেম কিনেছে তাইওয়ান। তাইপেই-এর এই পদক্ষেপ বেজিং মোটেই ভাল চোখে দেখেনি। এ বার সেই পিএসি-৩ মিসাইল সিস্টেমের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তোড়জোড় শুরু হওয়ায় বেজিং বেজায় চটেছে।
আরও পড়ুন: এক রাতেই পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারে জাপান, মার্কিন হুঁশিয়ারি চিনকে
তাইওয়ান অবশ্য নিজেদের ভূখণ্ড থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে না। সূত্রের খবর, আমেরিকার নিউ মেক্সিকোতে এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হবে। হোয়াইট স্যান্ড মিসাইল রেঞ্জ থেকে তাইওয়ানের সেনা ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার এই মহড়া দেবে। তাইওয়ান থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হলে, চিন খুব কাছ থেকে সে দিকে নজর রাখতে পারত। চিনকে এই অ্যান্টি-মিসাইল ব্যবস্থা সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানতে দিতে চায় না তাইওয়ানের সেনা। সেই জন্যই নাকি আমেরিকা থেকে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy