ঢাকার সেন্ট্রাল জেলের বাইরে উল্লাস। ছবি: এপি।
ঢাকার সেন্ট্রাল জেলে গণহত্যার দুই নায়ক বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী এবং জামাতে ইসলামির সাধারণ সম্পাদক আলি আহসান মহম্মদ মুজাহিদকে ফাঁসি দেওয়ার পর শনিবার গভীর রাতেই কড়া পাহারায় তাদের দেহ অ্যাম্বুল্যান্সে করে আলাদা আলাদা ভাবে চট্টগ্রাম ও ফরিদপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার জানান, ওই দুই নেতার পরিবারের ইচ্ছেতেই তাঁদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। গ্রামে তাঁদের দেহ নিয়ে যাওয়ার সময় যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না ঘটে তার জন্য পুরো রাস্তায় র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। রবিবার সকালেই চট্টগ্রামের রাউজানে সাকা চৌধুরী এবং ফরিদপুরে মুজাহিদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
একাত্তরে নির্বিচারে গণহত্যার এই দুই কাণ্ডারী নিজেদের বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব চেষ্টা ব্যর্থ হয় তাঁদের। শনিবার গভীর রাতে ফাঁসিতে ঝোলানোর পর পরই মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটে। সারা বাংলাদেশ জুড়ে যেন উত্সবের চেহারা নেয়। গণজাগরণ মঞ্চের নেতা থেকে সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। এ দিন তারা ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল বের করে শহিদ মিনারে জমায়েত হন। সেখানে গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক চন্দন দাশ জানান, এই গণহত্যাকারীদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু থেকে রায়দান পর্যন্ত গোটা ব্যাপারটাই ছিল বেশ কষ্টসাধ্য। তবে সালাউদ্দিন আর মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝোলানের জন্য সরকারকে ধন্যবাদও দেন তিনি।
ঢাকায় রাতেই ফাঁসি গণহত্যার দুই নায়ককে
অন্য দিকে, এই দুই জামাত নেতার ফাঁসিতে ক্ষুব্ধ তাদের সমর্থকরা। সোমবার দেশজুড়ে হরতালের ডাক দিয়েছে জামাতে ইসলামি। তাই দেশজুড়ে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
সালাউদ্দিনের ছেলে হুম্মাম কাদের এ দিন অভিযোগ করেন, এই রায় অবৈধ। এক জন নিরাপরাধ মানুষকে অন্যায় ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এক দিন না এক দিন এই ফাঁসির বিচার হবেই। সালাউদ্দিনের শেষকৃত্যের সময় পরিবারের সকলেই উপস্থিত ছিলেন রাউজানে।
এই সংক্রান্ত আরও ছবি সবিস্তারে দেখতে ক্লিক করুন নীচের গ্যালারিতে...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy