৬০০০ শব্দের টাটকা ‘পোস্টের’ বক্তব্য মোটামুটি পরিষ্কার। ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও মার্ক জুকেরবার্গ তাতে কার্যত বলেই দিচ্ছেন যে, ভবিষ্যতে দুনিয়ার যাবতীয় সমস্যা মিটবে তাঁর সোশ্যাল সাইটের হাত ধরে। ফেসবুক হয়ে উঠবে বৃহত্তর এক সমাজ। যেখানে হাত ধরাধরি করে থাকবে গোটা বিশ্ব।
জুকেরবার্গের এই পোস্ট নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে আগেই। কিন্তু সমান্তরাল আরও একটা চর্চা মাথাচাড়া দিচ্ছে একই সঙ্গে— কাকে নিয়ে বেশি চিন্তিত জুকেরবার্গ? পৃথিবী? না নিজের কুর্সি? অনেকের প্রশ্ন, দ্বিতীয়টাই তাঁর প্রধান চিন্তা নয় তো? আসলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, সিইও-র পদ থেকে জুকেরবার্গকে সরানোর জন্য সম্প্রতি উঠেপড়ে লেগেছেন ফেসবুকের শেয়ারহোল্ডারদের একটা বড় অংশ। তাঁরা মনে করছেন, সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও যদি একই ব্যক্তি হন তা হলে কর্পোরেট লেনদেন ও শেয়ারমালিকদের লাভজনক দিকগুলিতে তিনি ঠিক নজর দিতে পারেন না। জুকেরবার্গকে নিয়ে ঠিক সেই সমস্যাই হচ্ছে। তাই সিইও পদে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র কাউকে চাইছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ঘুষ কাণ্ডে গ্রেফতার স্যামসাং প্রধান
জুকেরবার্গ লিখেছেন, ‘‘একা কোনও একটি দেশের পক্ষে সন্ত্রাসবাদ, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, রোগব্যাধি, উদ্বাস্তু সমস্যা, জলবায়ুর পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলির মোকাবিলা করা অসম্ভব। এ ক্ষেত্রেই সহায়ক হতে পারে ফেসবুক সমাজ। ফেসবুকে ছোট ছোট গোষ্ঠী জুড়ে তৈরি হয় দুনিয়াজোড়া একটা গোষ্ঠী।’’ ডোনাল্ড ট্রাম্প যে দিন সাত মুসলিম দেশের মানুষের জন্য আমেরিকার দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন, সে দিন তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন জুকেরবার্গ। তা ছাড়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব বা ভুল খবর ছড়ানো নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
রাজনীতি বা নাগরিক পরিষেবার ক্ষেত্রেও ফেসবুকের গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন জুকেরবার্গ। সেই প্রসঙ্গে এসেছে ভারতের কথা। জুকেরবার্গ লিখেছেন, ‘‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর মন্ত্রীদের বলেছেন নিজেদের বৈঠক সংক্রান্ত ও অন্যান্য তথ্য ফেসবুকে শেয়ার করতে। যাতে আমজনতা সরাসরি তাঁদের মতামত জানাতে পারেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy