মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে বসার আগে হাতে নতুন অস্ত্র চলে এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে। সূত্রের খবর, সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত রুখতে তৈরি আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ফাইন্যানশিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’ (এফএটিএফ)-এর স্পেন–বৈঠকের শেষে একঘরে হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। জঙ্গি সংগঠনগুলোকে অর্থ দেওয়ার ব্যাপারে পাকিস্তানের অতীতের রেকর্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এফএটিএফ-এর সচিবালয়ের পক্ষ থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট লেখা হয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের তালিকাভুক্ত জঙ্গি সংগঠনগুলোকে নিয়মিত টাকা দিয়ে আসছে পাকিস্তান।
১৯৮টি দেশ নিয়ে তৈরি এই টাস্ক ফোর্সটি তাদের ‘এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ’কে পাকিস্তানের কাছ থেকে অবিলম্বে এ ব্যাপারে রিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে জঙ্গিদের এই অর্থসাহায্য পাকিস্তান বন্ধ করছে কি না, সে ব্যাপারেও নজর রাখতে বলা হয়েছে।
এফএটিএফ-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে জামাত উদ দাওয়া (জেইউডি)-র মুখ্য শাখা সংগঠন ফালাহ-ই-ইনসানিয়াৎ-এর মাত্র ৬৯টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে ইসলামাবাদ। কিন্তু এটা নেহাতই লোক দেখানো। নামে এবং বেনামে অন্তত এক হাজারটি অ্যাকাউন্ট তাদের রয়েছে এবং সেই সব অ্যাকাউন্টে নিয়মিত অর্থ জোগান চলছে। বারবার বলা সত্ত্বেও টাকার জোগান বন্ধ তো দূরস্থান, উল্টে জঙ্গি সংগঠনটির শ্রীবৃদ্ধির জন্য আরও বেশি করে পুঁজি জোগানের চেষ্টা করে গিয়েছে পাক নেতৃত্বেরই একটি অংশ।
টাস্ক ফোর্স-এর এই বৈঠকে পাক জঙ্গি মদত নিয়ে ভারতও সরব হয়েছে। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জেইউডি-র হাফিজ সইদ, আব্দুল রেহমান মাক্কি এবং অন্য নেতারা পাক সমর্থনে খুল্লামখুল্লা জনসভা করছে, মিছিল করছে, টাকা তুলছে, যুবকদের নিয়োগ করছে। আর এই সব কিছুর লক্ষ্যই হচ্ছে ভারতের বিরুদ্ধে জিহাদ। ভারতীয় সেনার হাতে নিহত অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিদের ঘটা করে শেষকৃত্যও করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নয়াদিল্লি।
পাশাপাশি, আজ ভারতের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে সমানে মদত দিয়ে চলেছে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনরা। আজ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র পক্ষ থেকে লস্করের প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ ও হুরিয়ত কনফারেন্স-এর বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy