স্কুলে বন্দুকবাজের হানা ও অফিসে চিঠি বোমা বিস্ফোরণের রেশ কাটতে না কাটতে দু’দিনের মধ্যেই ফের আতঙ্ক প্যারিসে। এ বারের ঘটনাস্থল ওরলি বিমানবন্দর।
শনিবার সকালে ওই বিমানবন্দরে সেনার বন্দুক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করায় এক সন্দেহভাজন যুবককে গুলি করে মেরেছে ফরাসি সেনা। ওই ঘটনায় কেউ আহত হননি বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত ওই সন্দেহভাজন পুলিশ ও গোয়েন্দাদের রেকর্ডে যথেষ্টই পরিচিত। শনিবার ভোরের দিকেই সে ট্রাফিক চেকপোস্টে এক মহিলা পুলিশ অফিসারকে গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে পালায় সে। পালানোর আগে প্যারিসের উত্তরের এক শহরতলি থেকে একটি গাড়িও ছিনতাই করেছিল ওই সন্দেহভাজন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ওই যুবক মৌলবাদী হিসেবেই পরিচিত ছিল। যদিও সরকারি ভাবে তার নাম জানানো হয়নি। এ দিনই নিহত ওই যুবকের বাবা ও ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল এ দিন?
ফরাসি অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এ দিন সকালে বিমানবন্দরে টহল দেওয়ার সময় ফরাসি বায়ুসেনার তিন কর্মীর উপর চড়াও হয় ওই সন্দেহভাজন। তিন সেনার মধ্যে থাকা এক মহিলা সেনাকে মাটিতে ফেলে তাঁর অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে সে। সহকর্মী ও বিমানবন্দরের যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য গুলি চালায় বাকি দুই সেনা। আশঙ্কা করা হয়েছিল, সন্দেহভাজনের কাছে বিস্ফোরক ঠাসা বেল্ট থাকতে পারে। তাই মুহূর্তের মধ্যে খালি করে দেওয়া হয় বিমানবন্দর। বন্ধ করে দেওয়া হয় দু’টি টার্মিনালও। যদিও তল্লাশি চালিয়ে সে রকম কিছুই মেলেনি।
সামনেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে পরপর এমন ঘটনায় আতঙ্কিত মানুষজন। ২০১৫ সাল থেকে বারবার জঙ্গিহানার শিকার হয়েছে ফ্রান্স। গোটা দেশে জারি রয়েছে জরুরি অবস্থা। এখন আবার ফ্রান্স সফরে গিয়েছেন সস্ত্রীক ব্রিটেনের রাজকুমার উইলিয়াম। ফলে তার মধ্যেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দরে এমন ঘটনায় জারি হয়েছে কড়া সতর্কতা। এর জেরে ব্যাহত হয়েছে বিমান চলাচলও। দুর্ভোগে প্রায় তিন হাজার যাত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy