Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
ব্রেক্সিট

প্রথম ধাক্কা সামলেছে ভারত, মত বিশ্ব ব্যাঙ্ক শীর্ষ কর্তা জিম অং কিম-এর

‘ব্রেক্সিট’-এর প্রাথমিক ধাক্কা ভারত ভালই সামলে নিয়েছে। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিদায় ঘিরে অনিশ্চয়তা চলতে থাকলে, ভারত-সহ গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতেই তার ধাক্কা এসে লাগবে বলে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করলেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট জিম অং কিম।

বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট জিম অং কিমের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট জিম অং কিমের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৬ ০৩:৪৯
Share: Save:

‘ব্রেক্সিট’-এর প্রাথমিক ধাক্কা ভারত ভালই সামলে নিয়েছে। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিদায় ঘিরে অনিশ্চয়তা চলতে থাকলে, ভারত-সহ গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতেই তার ধাক্কা এসে লাগবে বলে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করলেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট জিম অং কিম।

ভারত সফরে এসে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠক করেন কিম। সেখানেই ‘ব্রেক্সিট’-এর ধাক্কা নিয়ে আলোচনা হয়। তার পর কিম বলেন, ‘‘এখনও গোটা বিষয়টা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ব্রিটেনের সঙ্গে বাকি ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভবিষ্যতে সম্পর্কের শর্ত কী হবে, ইইউ-র খোলা বাজারে ব্রিটেন থাকবে কি না, স্কটল্যান্ড, নর্দান আয়ারল্যান্ড ব্রিটেনের মধ্যে থাকবে কি না, এই প্রশ্নগুলি রয়েছে। ভারতের মতো উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য আশঙ্কা হল, বিদেশি পুঁজি চলে যেতে পারে। কারণ বিনিয়োগকারীরা সোনা, মার্কিন ট্রেজারি, জার্মান বন্ডের মতো লগ্নির দিকে ঝুঁকছেন। যেখানে আয় কম হলেও ঝুঁকি কম। ফলে এই দেশগুলিতে পুঁজির অভাব হতে পারে।’’

ভারত অবশ্য প্রাথমিক ভাবে ধাক্কা ভালই সামলে নিয়েছে বলে মনে করছেন কিম। কিন্তু এই অনিশ্চয়তা চলতে থাকলে ভারতেও ধাক্কা এসে লাগবে বলে তাঁর আশঙ্কা। কিন্তু ব্রেক্সিট-এর প্রেক্ষিতে সামগ্রিক ভাবে যে ভাবে বহু দেশ খোলা বাজারের উল্টো দিকে ঝুঁকছে, সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করতে চাইছে, তাতে বেশি বিপদ দেখছেন কিম। তাঁর বক্তব্য, সব দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। যাতে পণ্য, কর্মী, পুঁজি এক দেশ থেকে আর এক দেশে সহজে যাতায়াত করতে পারে। তা হলেই আর্থিক অসাম্য কমবে।

মোদী সরকারের জমানায় ভারত যে ভাবে লগ্নির সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে, বৃদ্ধির হার বাড়ানোর চেষ্টা করছে, স্বচ্ছ ভারতের মতো প্রকল্পের দ্রুত গতিতে কাজ হচ্ছে, তারও প্রশংসা করে কিম বলেন, ‘‘আমি প্রধানমন্ত্রীর বিরাট ভক্ত। তিনি যা করেন, বিশ্বের সব নেতারই তা করা উচিত। উনি বড় আকারে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেন। সময়সীমা বেঁধে দেন। তারপর প্রশাসনকে কাজে নামিয়ে দেন।’’ ভারতে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে দু’টি চুক্তিও করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

world bank solar mission
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE