ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে ‘প্রতারক’ পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এর পরেও সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য ইসলামাবাদকে আর্থিক সাহায্য করতে চলেছে ওয়াশিংটন। পাকিস্তানের একটি প্রথম সারির সংবাদপত্রে এই দাবি করা হয়েছে।
খবরটিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্তের কথা ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদকে জানিয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানের সেনেটের বিদেশ বিষয়ক কমিটির সামনে বিদেশ সচিব তেহমিনা জানজুয়া জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজ স্থগিত হয়েছে ঠিকই, তবে এর মধ্যে সামরিক প্রশিক্ষণের অংশটি চালু থাকছে। আমেরিকা তাদের জাতীয় স্বার্থের দিকে তাকিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং’ কর্মসূচিতে এই অর্থ দেবে। বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সুস্পর্ক গড়তে ও ভবিষ্যতে সমঝোতার সম্ভাবনা খোলা রাখতেই মার্কিন প্রশাসন এই অর্থসাহায্য করে থাকে। গত ১৫ বছর ধরে যা পেয়ে আসছে পাকিস্তান। চলতি বছরে এই খাতে ৪০ লক্ষ ডলার পাচ্ছে ইসলামাবাদ।
পাক বিদেশমন্ত্রী খাজা আসিফ যদিও সন্ত্রাস আটকানোর নামে মার্কিন সহায়তা বন্ধ করা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, আফগানিস্তানে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই ট্রাম্প প্রশাসন দায় চাপাচ্ছে পাকিস্তানের উপর। তবে এরই মধ্যে আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এ দিন নিশানা করেছেন ইসলামাবাদকে। তাঁর মতে, মুম্বই হামলায় জঙ্গি হাফিজ সইদের যোগ থাকার অনেক প্রমাণ রয়েছে। তবে সইদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে কোনও মামলা না থাকায় ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন কারজাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy