প্রতীকী ছবি।
মাসখানেকের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে শীতের অলিম্পিক্স। এ বার আসর বসেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।
আর এই সুযোগেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের উপর থেকে চাপ কমাতে চাইছে কোণঠাসা উত্তর কোরিয়া। সে জন্যই অলিম্পিকে অংশগ্রহণের জন্য প্রতিযোগী পাঠাতে রাজি হয়েছে পিয়ংইয়ং, মনে করছেন কূটনীতিকদের একাংশ।
বেশ কয়েক দিন ধরেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা চলছে। সেখানেই দুই কোরিয়া জানিয়েছে, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এক সঙ্গে কুচকাওয়াজে অংশ নিতে চলেছে দুই দেশের ক্রীড়াবিদরা। দক্ষিণ কোরিয়ার তরফে আজ এ কথা জানানো হয়েছে।
এমনকী মহিলাদের আইস হকিতেও অংশ নিতে রাজি হয়েছে দুই কোরিয়ার যৌথ দল। অলিম্পিক শুরুর আগে উত্তর কোরিয়াতেই একসঙ্গে প্রশিক্ষণ নেবে দুই দেশের স্কিয়াররা। এ বছর অলিম্পিক্সের জন্য ২৩০ জন ‘চিয়ার লিডার’ পাঠানোর কথাও জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
আগামী মাসের শুরুর দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাং-এ শুরু হতে চলেছে খেলা। এর আগেও একই পতাকার তলায় একসঙ্গে কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছে দুই কোরিয়া। এই দৃশ্য যথেষ্ট বিরল। ১৯৯১ সালে বিশ্ব টেবল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের সময় একসঙ্গে কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিল উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। তার পর ২০০৬ সালে ইতালিতে শীতের অলিম্পিক এবং ২০০৭ এশিয়ান গেমস। আর এ বার আরও একবার সেই দৃশ্যের মুখোমুখি হতে চলেছে বিশ্ব।
সোল ও পিয়ংইয়ংয়ের এই এক টেবিলে বসার সিদ্ধান্তকে গোড়ায় সাধুবাদ জানালেও সন্দেহও যাচ্ছে না। এ দিন ফের আমেরিকার তরফে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। গতকাল হোয়াইট হাউসের মিডিয়া সচিব
সারা স্যান্ডার্স জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মিলে অলিম্পিক্সে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়তো উত্তর কোরিয়াকে শেষমেশ ‘স্বাধীনতার স্বাদ’ দেবে। পাশাপাশি, যাচাই হয়ে যাবে, আদৌ নিজেদের উপর থেকে আন্তর্জাতিক চাপ কমাতে কতটা আগ্রহী উত্তর কোরিয়া।
এক দশকেরও বেশি সময় পরে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব কমাতে উদ্যোগী হয়েছে দুই দেশ। এমনিতেই পরমাণু অস্ত্র নিয়ে আগ্রাসী মনোভাবের জন্য বিশ্বমঞ্চে একঘরে উত্তর কোরিয়া। কূটনীতিকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে অলিম্পিককেই বরফ গলানোর অস্ত্র করতে মরিয়া পিয়ংইয়ং। তবে অলিম্পিক্স শুরুর ঠিক এক দিন আগেই একটি সেনা মহড়া করা হবে বলে আজ উত্তর কোরিয়ার তরফে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy