Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

নাইজেরিয়ায় বোকো হারামের হামলা, হত ১০০

আবার নরমেধে মাতল বোকো হারামের জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবার নাইজেরিয়ায় উত্তরে কুকাওয়ায় শহরে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালাল তারা। এই হামলায় প্রায় ১০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে প্রবীণ, শিশু ও নারীরা আছেন। এখন রমজান মাস চলছে।

হামলার পর। এএফপি-র তোলা ছবি।

হামলার পর। এএফপি-র তোলা ছবি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৫ ১৬:৩৮
Share: Save:

আবার নরমেধে মাতল বোকো হারামের জঙ্গিরা। বৃহস্পতিবার নাইজেরিয়ায় উত্তরে কুকাওয়ায় শহরে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালাল তারা। এই হামলায় প্রায় ১০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে প্রবীণ, শিশু ও নারীরা আছেন। এখন রমজান মাস চলছে। রমজান মাসে আক্রমণ চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সেই নির্দেশ মেনেই এই আক্রমণ বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ, ঘোষণা করে আইএস-এর আনুগত্য স্বীকার করে নিয়েছে বোকো হারাম।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, কুকাওয়ায় বৃহস্পতিবার বিকেলে হামলা চালায় বোকো হারাম। সাতটি গাড়ি ও ন’টি মোটরসাইকেল চেপে বোকো হারামের জঙ্গিরা কুকাওয়ায় আসে। তখন রমজানের উপবাস ভাঙার সময়। স্থানীয় মসজিদে প্রার্থনা চলছিল। নেমেই হামলা শুরু করে বোকো হারামের জঙ্গিরা। মসজিদে এলোপাথারি গুলি চালায় জঙ্গিরা। সেখানে অনেকেই মারা যান। তার পরে বাড়ি বাড়ি হানা দেয় জঙ্গিরা। বেশির ভাগ বাড়িতে তখন রান্না শুরু হয়েছিল। এই হামলায় বেশ কয়েক জন গৃহবধূ ও শিশুর মৃত্যু হয়। জঙ্গিদের আর একটি অংশ বাসিন্দাদের লাইন করে দাঁড় করায়। লাইন থেকে নারী ও প্রবীণদের সরিয়ে দেয়। তার পরে বাকিদের গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে নাইজেরীয় সেনাদের ছাউনি থাকলেও কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি। বেশ কয়েক দিন আগেই কুকাওয়া থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে একটি গ্রামে হামলা চালিয়েছিল বোকো হারামের জঙ্গিরা। সেই হামলায় ৪৭ জন নিহত হয়েছিলেন। তার পরেও কুকাওয়ার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

nigeria boko haram militants mosque
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE