নিজের ‘বাড়িতে’ সুদান। রয়টার্স
প্রোফাইল বলছে, ছেলেটি ঘাস খায়। জিরিয়ে নেয় কাদায়। নাম সুদান, বয়স ৪৩, পুরুষ।
ঘনিষ্ঠেরা বলেন, সে দুনিয়ার সবচেয়ে যোগ্য ব্যাচেলর। সত্যিই। ‘নর্দার্ন হোয়াইট রাইনো’ প্রজাতির গন্ডার সারা বিশ্বে রয়েছে তিনটি। দু’টি মেয়ে, একটি ছেলে। সেই ছেলেই সুদান। কেনিয়ার ওল পেজেতা বণ্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্রে থাকে সে। চব্বিশ ঘণ্টা বন্দুকধারীর পাহারায়। কিন্তু এক দিন তো সুদানের মৃত্যু হবেই। তার পর?
একই প্রজাতির দুই মেয়ে গন্ডার নাজিন ও ফাতু থাকে ওই কেন্দ্রেই। কিন্তু তারা সন্তানধারণে অক্ষম। বিপন্ন প্রজাতিটিকে বাঁচিয়ে রাখতেই ডেটিং অ্যাপ ‘টিন্ডার’-এর সঙ্গে জোট বেঁধেছেন ওল পেজেতা কর্তৃপক্ষ। তৈরি হয়েছে সুদানের প্রোফাইল। লক্ষ্য, গবেষণার টাকা তোলা।
ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) পদ্ধতিতে ডিম্বাণুর কৃত্রিম নিষেক কখনও গন্ডারের ক্ষেত্রে করা হয়নি। তা নিয়ে গবেষণা চলছে আমেরিকা, জার্মানি, জাপানে। প্রায় ৯০ লক্ষ ডলারের ধাক্কা। ভরসা অনলাইন। সুদানের টিন্ডার প্রোফাইলে আঙুল চালালেই অন্য একটি পেজ খুলবে। সেখানেই অনুদান দেওয়া যাবে। সংরক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান রিচার্ড ভিগনের কথায়, ‘‘আমরা চাই জঙ্গলে ওদের একটা দল আবার তৈরি করতে।’’ পাঁচ বছরে জনা দশেক নতুন অতিথি আনতে চান বিজ্ঞানীরা। একান্তই সমস্যা হলে কাছাকাছি প্রজাতির ‘সাদার্ন হোয়াইট রাইনো’ পাত্রী খোঁজা হবে সুদানের জন্য। যাদের বাস দক্ষিণ আফ্রিকায়।
সবাই জানে, যুদ্ধটা সময়ের সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy