ছবি: সংগৃহীত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত সেপ্টেম্বরে ঘুরে এসেছিলেন মায়ানমারে। সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে গত ১০-১১ নভেম্বর ইয়াঙ্গনে বসেছিল দু’দেশের মন্ত্রী, কূটনীতিক, সামরিক বিশেষজ্ঞদের সম্মেলন। তার শেষে ‘ইয়াঙ্গন ঘোষণাপত্রে’ যদিও ঠাঁই হল না রোহিঙ্গা সমস্যার।
কলকাতার ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ এবং মায়ানমারের সরকারি থিঙ্কট্যাঙ্ক দ্য মায়ানমার ইনস্টিটিউট অফ স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-এর যৌথ উদ্যোগে হয় এই সম্মেলন। ইয়াঙ্গনে ভারতীয় দূতাবাস, মায়ানমার বিদেশ মন্ত্রকও তাতে যোগ দেয়। সূত্রের খবর, সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে যখন রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ নিয়ে সমাধানের কথা ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা প্রস্তাব করেন, তা মানতে চাননি মায়ানমারের প্রতিনিধিরা। ভারতীয় প্রতিনিধিরাও জোরাজুরি করেননি। শেষমেশ ঘোষণাপত্রে দায়সারা ভাবে ‘উদ্বাস্তু’ সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপের কথা বলা হয়।
আইএসসিএসের সম্পাদক অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সব সময় সব বিষয়ে সহমত হওয়া যায় না। তবে যৌথ ঘোষণায় দু’দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথের দিশাই দেওয়া হয়েছে।’’ ঘোষণায় বলা হয়, ভারত এবং মায়ানমারের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্পর্ক মজবুত করতে সামরিক সমন্বয় জরুরি। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জাতিগোষ্ঠীর এবং উগ্রপন্থার সমস্যা সমাধানের ভারতের অভিজ্ঞতা ভাগ করে মায়ানমার শান্তি প্রক্রিয়ায় সাহায্য করুক। মায়ানমারে শান্তি এবং নিরাপত্তা শুধু ভারতের জন্যই নয়, সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এ ক্ষেত্রেও বোঝাপড়া জরুরি।
সীমান্তের দু’পারে উগ্রপন্থী কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ভারত এবং মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর একসঙ্গে কাজ করা দরকার। নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক যে সব ঘটনা সীমান্তের দু’পারে ঘটছে, সেগুলির মোকাবিলায় আরও চেষ্টা এবং সহযোগিতা প্রয়োজন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy