Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিক্ষোভ হোয়াইট হাউসের সামনেও

ফ্লরিডার পার্কল্যান্ডের মারজরি স্টোনম্যান ডগলাস স্কুলে বন্দুকবাজের হামলার পরে প্রায় এক সপ্তাহ কাটতে চলল।

হোয়াইট হাউসের সামনে স্কুল পড়ুয়াদের বিক্ষোভ কর্মসূচি। ছবি: এপি।

হোয়াইট হাউসের সামনে স্কুল পড়ুয়াদের বিক্ষোভ কর্মসূচি। ছবি: এপি।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩৩
Share: Save:

ক্ষোভের আঁচটা টের পাওয়া যাচ্ছিল গত কয়েক দিন ধরেই। কড়া বন্দুক আইনের পক্ষে দেশের প্রেসিডেন্ট কেন সওয়াল করছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন দেশের সাধারণ মানুষ। কিন্তু এ বার একেবারে ওয়াশিংটনে খোদ প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে ফুটপাথে সার দিয়ে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাল স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। দাবি একটাই, আমেরিকার এই ঢিলেঢালা বন্দুক নীতিতে রাশ টানতে অবিলম্বে কিছু করুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ফ্লরিডার পার্কল্যান্ডের মারজরি স্টোনম্যান ডগলাস স্কুলে বন্দুকবাজের হামলার পরে প্রায় এক সপ্তাহ কাটতে চলল। গত বুধবারের ওই হামলায় মৃত্যু হয় ১৭ জনের। দু’দিন আগে ওই স্কুল চত্বরেই বন্দুক আইনে রাশ টানা নিয়ে সওয়াল করেছিল এক দল ছাত্রছাত্রী। ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএ)-কে সমর্থন করায় সরাসরি ট্রাম্পের নিন্দায় সরব হতেও দেখা গিয়েছিল তাদের। গত কাল ওয়াশিংটনেও একই ধরনের বিক্ষোভ হয়। দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষাবিদেরা কাল জড়ো হয়েছিলেন হোয়াইট হাউসের সামনে। কড়া বন্দুক আইনের সমর্থনে পড়ুয়ারা কাল হোয়াইট হাউসের সামনের রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের সকলেরই দাবি, স্কুল বা কলেজ চত্বরে এই ধরনের হামলা যাতে আর না হয়, সরকারকে তা সুনিশ্চিত করতে হবে। কারও হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘‘এর পর কি আমি?’’ ভার্জিনিয়ার আলেজান্দ্রিয়া থেকে বিক্ষোভে যোগ দিতে এসেছিল বছর ষোলোর কিশোরী এলা ফেসলার। বলল, ‘‘আমাদের রাগটা দেখানো এখন খুব জরুরি। এ ভাবেও যদি আমেরিকার বন্দুক নীতিতে কোনও পরিবর্তন আনতে পারি।’’ সেই সঙ্গেই ওই ছাত্রীর সংযোজন, ‘‘রোজ যখন স্কুলে যাওয়ার সময় বাবা-মাকে বাই বলি, আমার মনেও কিন্তু ভয়টা থাকে, কী জানি হয়তো আর কোনও দিন ওদের দেখতে পাব না।’’

কালকের বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে মুখ খুলেছে হোয়াইট হাউস। প্রেস সচিব সারা স্যান্ডার্স জানিয়েছেন, ‘ব্যাকগ্রাউন্ড চেক’ বিল নিয়ে ইতিমধ্যেই দুই সেনেটরের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট। ‘ব্যাকগ্রাউন্ড চেক’ আসলে আমেরিকায় বন্দুক কেনার আগে ক্রেতার অতীত ইতিহাস ঘেঁটে দেখার নিয়ম। নিয়ম অনুযায়ী, কেউ বন্দুক কিনতে গেলে তাঁকে একটা ফর্ম ভর্তি করতে হয়। পরে কম্পিউটার বা ফোনের মাধ্যমে ওই ক্রেতা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয় এফবিআই। কারও কোনও অপরাধের রেকর্ড থাকলে তাঁকে বন্দুক কেনার লাইসেন্স দেওয়া হয় না। তবে ফেডেরাল আইনের আওতায় এই নিয়ম মানা হয় না। অর্থাৎ কেউ যদি বন্দুক কিনে নিজের প্রদেশের বাইরে না যেতে চান, সে ক্ষেত্রে তাঁর অতীত ইতিহাস দেখা হয় না। নয়া বিলের মাধ্যমে এই আইনেই পরিবর্তন আনতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE