আইনমন্ত্রী সিলভি লিস্টহগ।
একটি ফেসবুক পোস্টের জেরে বদলে যেতে পারত নরওয়ের সরকারের ভাগ্য। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সরকারের পতন ঠেকাল আইনমন্ত্রী সিলভি লিস্টহগের ইস্তফা।
গত ৯ মার্চ মুখোশধারী জঙ্গিদের একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে সিলভি লেখেন, ‘‘রাষ্ট্রের সুরক্ষার চেয়ে সন্ত্রাসবাদীদের অধিকারই লেবার পার্টির (প্রধান বিরোধী দল) কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’’ ২০১১ সালের ২২ জুলাই দক্ষিণপন্থী জঙ্গি আন্দ্রে বেহরিং ব্রেইভিকের হানায় নরওয়েতে নিহত হন ৭৭ জন। লেবার পার্টির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও লেবার পার্টির শিবিরে চলেছিল সেই হামলা। ঘটনাচক্রে, ওই হামলা নিয়ে তৈরি একটি ছবির প্রিমিয়ার শো ছিল ৯ তারিখেই। ফলে চরমে ওঠে বিতর্ক।
ঘটনার পরেই লিস্টহগ ক্ষমা চেয়েছিলেন। দাবি করেছিলেন, ওই হামলা ও সিনেমার কোনও যোগসূত্র টানতে চাননি তিনি। কিন্তু ওই পোস্টের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব আনার তোড়জোড় করে ফেলেছিল বিরোধীরা। সেই প্রস্তাব পাশ হলে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এর্না সোলবার্গের ইস্তফা দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছিল না। নরওয়ের বর্তমান সরকারে প্রধানমন্ত্রীর দল সংখ্যালঘু। গোটা বিষয়ে নীরব ছিলেন তিনি। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, সোলবার্গ কিংবা শাসক জোটের পক্ষ থেকে লিস্টহগকে পদত্যাগের জন্য কখনওই চাপ দেওয়া হয়নি। নিজের পদত্যাগের জন্য লেবার পার্টির নেতা জোনাস গর স্টোরকেই দায়ী করেছেন। সঙ্গে বাক্সংযমের বিষয়ে লিস্টহগের মন্তব্য, ‘‘আমি কখনওই অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের মতো হতে পারব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy