প্রতীকী ছবি।
কার্ডবোর্ডে বাঁধানো দিব্যি ছিমছাম সব পার্সেল। অথচ কোথাও কোনও পোস্টাল স্ট্যাম্প বা কুরিয়ার কোম্পানির ছাপ নেই। কে বা কারা যেন এসে দরজার ঠিক বাইরে রেখে যাচ্ছিল। আর তা হাতে নিলেই বিস্ফোরণ। ২ মার্চ থেকে কাল রাত পর্যন্ত টেক্সাসের অস্টিন শহরে এমন অন্তত পাঁচটি ঘটনা ঘটেছে। নিহত ২। আহত বেশ কয়েক জন। টেক্সাস পুলিশের দাবি, জঙ্গি হামলা নয়। এ বার এল গাড়ি-বোমা-ও। আজ সকালের এই ঘটনায় গাড়ির মধ্যে যে ছিন্নভিন্ন দেহ মিলেছে তা ওই ‘সিরিয়াল বম্বার’-এর বলে অনুমান পুলিশের। গত ১৯ দিন ধরে যার ভয়ে কাঁপছিল টেক্সাস।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর চব্বিশের এক শ্বেতাঙ্গ সন্দেহভাজন সম্পর্কে তথ্য পেয়ে পরশু থেকেই তারা নজর রাখছিল। কাল রাতে একটি গাড়িকে উত্তর অস্টিনের রাউন্ড রক হোটেলে ঢুকতে দেখে পিছু নেয় পুলিশ। তার পর আজ সকালে পুলিশের বিশেষ বাহিনী ওই গাড়িটিকে ঘিরে ফেলতেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় ওই যুবক। টেক্সাসে এই ধারাবাহিক হামলার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ একাংশের।
২ মার্চ অস্টিনে প্রথম বিস্ফোরণেই বছর চল্লিশের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ১২ মার্চ প্রাণ যায় ১৭ বছরের এক কিশোরের। ওই দিনেই তৃতীয় বিস্ফোরণে আহত হন ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধা। গত কাল ফেড-এক্স কুরিয়ার সংস্থার গুদামেও বিস্ফোরণে আহত হন এক মহিলা-সহ কয়েক জন। প্রশাসন বলছে, হতাহতদের বেশির ভাগই হয় কৃষ্ণাঙ্গ নয় স্পেনীয় বংশোদ্ভূত। তাই জাতি বা বর্ণবিদ্বেষের তত্ত্বও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy