ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি।
রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক সহজ করার কথা প্রচারে বলেছেন বার বার। এমনকী তাঁকে হোয়াইট হাউসে দেখতেই রুশ গুপ্তচর সংস্থা প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রুসেই অভিযোগের তদন্তও শুরু হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প জমানায় ক্রমশ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও তিক্ত হচ্ছে। ফলে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করার পরিকল্পনা ট্রাম্প আপাতত ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
সম্প্রতি ইউক্রেন সরকারকে জ্যাভেলিন ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র-সহ বেশ কিছু মারণাস্ত্র সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। ইউক্রেনে মস্কোর সমর্থনপুষ্ট জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই চলছে সে দেশের সরকারের। স্বভাবতই এতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মস্কো। রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভের কথায়, ‘‘আমেরিকা সীমা অতিক্রম করছে। এতে ইউক্রেনকে ফের এক দফা রক্তপাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হল।’’
পাশাপাশি সিরিয়ার আকাশে যুদ্ধবিমানের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সমঝোতা রাশিয়া পুরোপুরি মানছে না বলে দাবি ওয়াশিংটনের। সম্প্রতি সিরিয়ার আকাশে মার্কিন এফ-২২ ও রুশ এসইউ-২৫ বিমান মুখোমুখি হয়ে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছিল। ফলে এই ধরনের ঘটনা এড়াতে সমঝোতা করেছে দু’দেশ। কিন্তু পেন্টাগনের দাবি, রাশিয়া সেই সমঝোতা মেনে চলছে না। অনেক সময়ে ইচ্ছে করেই রুশ যুদ্ধবিমান এমন এলাকায় ঢুকছে যেখানে সমস্যা হতে পারে।
সেইসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও চেচনিয়ার প্রেসিডেন্ট রমজান কাদিরোভের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র হেদার নেওয়ার্ট দাবি করেন, রুশ সরকারের ঘনিষ্ঠ এই সব ব্যক্তিরাই ইউক্রেনে হিংসা ছড়়ানোয় মদত দিচ্ছেন। পাল্টা পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো।
কূটনীতিকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসন যে সব ক্ষেত্রে রাশিয়ার মোকাবিলা করার জন্য তৈরি হচ্ছে তা নয়া জাতীয় নিরাপত্তা নীতি থেকেই স্পষ্ট। সম্প্রতি এই নীতি প্রকাশ করেছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টার। এই নীতি অনুযায়ী, মার্কিন স্বার্থ ও মূল্যবোধের বিপরীতধর্মী এক বিশ্ব গড়তে চায় রাশিয়া। ওয়াশিংটনের সঙ্গে মিত্র দেশগুলির সম্পর্ক নষ্ট করতে সক্রিয় মস্কো। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের জবাব, ‘‘আগ্রাসী নীতি নিচ্ছে আমেরিকা। রাশিয়া সেটা বুঝেই চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy