চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং।
বিশ্বে চিনের ভাবমূর্তি ফেরাতে এ বার বিভিন্ন দেশের পরিকাঠামো সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নে উপুরহস্ত হতে চান প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। সেই লক্ষ্যেই রবিবার চিনা সরকারের আমন্ত্রণে বেজিংয়ে আসছেন অন্তত ৩০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ ফোরামের সম্মেলনে। চিনের প্রশাসনিক সূত্রের খবর, অন্য দেশগুলির উন্নয়নমূলক প্রকল্পে ৫০ লক্ষ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে বেজিংয়ের।
মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যই গড়ে তোলা হয়েছে ওই ফোরাম। আমেরিকা ও ইউরোপ বিষয়টিকে খুব একটা সুনজরে দেখছে না জেনেও নিজেদের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ফোরামের আর্থিক সহযোগিতা পাওয়ার লক্ষ্যে ১০০টিরও বেশি দেশ ইতিমধ্যেই আবেদন জানিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি নিয়ে চলায় বিশ্বায়নের এক সময়ের প্রবক্তা ওয়াশিংটন অন্য দেশের উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ কাটছাঁট করতে শুরু করেছে। মার্কিন বাজেটে তার প্রতিফলনও ঘটেছে সম্প্রতি। সামনের বছরগুলিতে যে আরও কাটছাঁট হবে, তারও ইঙ্গিত দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ব্রিটেন ব্রেক্সিট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইউরোপের দেশগুলিও উন্নয়নশীল দেশগুলির পরিকাঠামো সহ অন্যান্য ক্ষেত্রের হাল ফেরাতে অর্থ বিনিয়োগে অনীহা দেখাতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন- ফ্লিপকার্টেই মেশার পথে স্ন্যাপডিল
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই সুযোগটাই নিতে চাইচে চিন। বলা ভাল, চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। উন্নয়নশীল দেশগুলির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং বিশ্বে যেমন চিন ও তাঁর নিজের অন্য ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে চাইছেন, তেমনই চিনের নাগরিকদেরও তিনি বোঝাতে চাইছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁর জনপ্রিয়তা কতটা।
চায়না রিসার্চ ফর টিএস লোম্বার্ডের অধিকর্তা, লগ্নি বিশেষজ্ঞ ট্রে ম্যাকার্ভার বলেছেন, ‘‘এই নীতি বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলির আর্থিক ও বাণিজ্যিক স্বাস্থ্যের যথেষ্টই হাল ফেরাবে। তবে আমেরিকা ও ইউরোপ বিষয়টিকে সুনজরে দেখছে না বলে আর ভারত, রাশিয়ার মতো দেশগুলি সহজে এসিয়ার দেশগুলির ওপর চিনকে কর্তৃত্ব করার সুযোগ দিতে চাইবে না বলে চিনা প্রেসিডেন্টের উদ্যোগ সত্যি-সত্যিই কতটা সফল হবে, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে ৫ লক্ষ কোটি ডলারে অর্থনৈতিক করিডর হড়ে তোলা, জিবোউতিতে একটি বন্দর নির্মাণ আর মধ্য এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে তেলের পাইপলাইন বসানোর যে পরিকল্পনা রয়েছে চিনের, অন্য বড় দেশগুলির বাধায় তা আটকে যায় কি না, সেটাও দেখতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy