অভ্যুত্থানের চেষ্টা মোকাবিলার নামে গণতন্ত্রকে দমন করা যাবে না বলে তুরস্ককে হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগানের সরকারকে আইনের শাসন মেনে চলা উচিত বলেও এ দিন জানিয়ে দিয়েছে পশ্চিমী দুনিয়া।
সামরিক অভ্যুত্থানের ব্যর্থ চেষ্টার পরে ক্রমশই ধরপাকড়ের মাত্রা বাড়াচ্ছে এরদোগান সরকার। সামরিক বাহিনীর জেনারেল ও অ্যাডমিরাল স্তরের ২০৩ জন অফিসারকে আটক করা হয়েছে। বায়ুসেনার প্রাক্তন প্রধান আকিন ওজতুর্ক অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করার কথা মেনে নিয়েছেন বলে দাবি সরকারি সংবাদ সংস্থার। বরখাস্ত হয়েছেন প্রায় ৯ হাজার আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার পুলিশ অফিসার রয়েছেন। হিংসাও থামেনি পুরোপুরি। এ দিন ধৃত অফিসার ও সেনাদের আদালতে তোলার কাজও শুরু হয়েছে। আঙ্কারায় একটি আদালতে সেনাদের বিচারের জন্য হাজির করার সময়ে হামলা চালায় এক আততায়ী। বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্যে নিহত হয়েছে সে। সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, হত আততায়ীও এক জন সেনা। ইস্তানবুলের ডেপুটি মেয়র কামিল কানদাসকে মাথায় গুলি করে খুন করা হয়েছে।অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ায় গ্রিসে পালিয়ে গিয়েছিলেন ৮ জন তুর্কি সেনা অফিসার। তাঁদের প্রত্যর্পণ নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয়েছে গ্রিক আদালতে।
কিন্তু এরদোগান সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে ক্রমশই আশঙ্কা বাড়ছে তুরস্ক ও পশ্চিমী দুনিয়ার নানা শিবিরে। এই সুযোগে এরদোগান গোটা দেশকে হাতের মুঠোয় আনতে চাইছেন বলেই মনে করছেন অনেকে। তাই আজ ব্রাসেলসে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশনীতি প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি। তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, অভ্যুত্থানের চেষ্টার পিছনে যারা ছিল তাদের বিচার অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু তুরস্কের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গে বজায় রাখতে হবে আইনের শাসন। বিদ্রোহীদের জন্য তুর্কি সরকার ফের মৃত্যুদণ্ড চালু করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছিল সে দেশের সংবাদমাধ্যম। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশনীতি প্রধান ফেডেরিকার কথায়, ‘‘মৃত্যুদণ্ড ফের চালু হলে তুরস্ক কোনও ভাবেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে পারবে না।’’ ওই সদস্যপদ পেতেই তুরস্কে মৃত্যুদণ্ড তুলে দেওয়া হয়েছিল। মার্কিন বিদেশসচিবের হুঁশিয়ারি, ‘‘ন্যাটোর সদস্য দেশগুলিতে গণতন্ত্র রয়েছে। তুরস্ক গণতন্ত্রের পথে থাকে কিনা তার উপরে ন্যাটো অবশ্যই নজর রাখবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy