স্যালি জোনস ওরফে হোয়াইট উইডো। ছবি: সংগৃহীত।
ড্রোন হামলায় ২০১৫-য় নিহত হয়েছিল আইএস জঙ্গি জুনেইদ হুসেন। তার ঠিক দু’বছরের মাথায় একই ভাবে ড্রোন হামলায় মৃত্যু হল জুনেইদের স্ত্রী স্যালি জোনসের। দ্য সান পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই হামলায় তাদের ১২ বছরের ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দাবানলে মৃত ৩১, নিখোঁজ বহু
এই স্যালি জোনস-ই ব্রিটেনের ত্রাস হয়ে উঠেছিল। স্বামীর মৃত্যুর পর ব্রিটেনে না থেকেও সেখানে জঙ্গি নেটওয়ার্ক চালাচ্ছিল সে। বহির্বিশ্বের কাছে অবশ্য স্যালি ‘হোয়াইট উইডো’ নামে বেশি পরিচিত। দ্য সান পত্রিকাকে ব্রিটেন গোয়েন্দাদের এক সূত্র মারফত জানানো হয়, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ডেরা রাকাতে পালানোর সময় গত জুনে সিরিয়া-ইরাক সীমান্তে ড্রোন হামলায় নিহত হয় স্যালি ও তার ছেলে।
যদিও মার্কিন গোয়েন্দারা দাবি করেছেন, স্যালি যে নিহত হয়েছে এ বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নয় তাঁরা। কেন না ঘটনাস্থল থেকে ডিএনএ উদ্ধার করার কোনও উপায়ই নেই। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র মুখপাত্র এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের পথেই কি এগোচ্ছে আমেরিকা? জল্পনা তুঙ্গে
কে এই স্যালি জোনস ওরফে ‘হোয়াইট উইডো?
ব্রিটেনের বাসিন্দা স্যালি এক জন পাঙ্ক মিউজিসিয়ান ছিল। জন্ম দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের গ্রিনিচে। পরে অবশ্য কেন্টে চলে যায় সে। ইসলাম ধর্ম নেওয়ার পর ২০১৩-য় সিরিয়ায় পাড়ি দেয় সে। সেখানে আইএস জঙ্গি জুনেইদ হুসেনকে বিয়ে করে সে। জুনেইদের সঙ্গে আগেই অনলাইনে পরিচয় হয়েছিল তার। ২০১৫-য় ড্রোন হামলায় জুনেইদের মৃত্যুর পর ব্রিটিশ মিডিয়া স্যালির নাম দেয় ‘হোয়াইট উইডো’। স্যালির মূল কাজ ছিল ব্রিটেন থেকে যুবক-যুবতীদের আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীতে নিয়োগ করে তাঁদের হামলার জন্য প্রস্তুত করা। শুধু তাই নয়, ব্রিটেনে কী ভাবে হামলা চালাতে হবে, কী ভাবে বোমা তৈরি করতে হয়— এ সব নিয়ে উত্সাহ দিত স্যালি। সোশ্যাল সাইটে স্যালি এক বার পোস্ট করেছিল, “ধারাল ছুরি দিয়ে সমস্ত খ্রিস্টানদের মাথা কেটে রাকার রেলিংয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া উচিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy