ফের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় সোনা জয় করে ফিরল রেলশহরে টেবিল টেনিস খেলোয়াড় এরিনা দত্ত।
মঙ্গলবার রাতেই গুজরাজের ভদোদরা থেকে খড়্গপুরের পুরাতনবাজারে নিজের বাড়িতে পৌঁছেছে খড়্গপুরে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় (দ্বিতীয়)-এর নবম শ্রেণির ছাত্রী এরিনা। গত অগস্টে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের কলকাতা আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় এরিনা-সহ পাঁচজনকে জাতীয়স্তরের প্রতিযোগিতার টেবিল টেনিস বিভাগের জন্য বেছে নেওয়া হয়। তবে পাঁচজনের দলে খড়্গপুরের হয়ে একমাত্র এরিনাই প্রতিনিধিত্ব করে। এরিনা ছাড়া ওই দলে ছিল জোকা কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রাপ্তি সেন, ব্যারাকপুরের কৌশানী নাথ, সল্টলেকের আকাঙ্খা সোনই ও অস্মিতা সেনগুপ্ত। ১৪-১৮ অক্টোবর গুজরাতের ভদোদরার এমএস বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের ২৪টি অঞ্চল থেকে আসা দলের সঙ্গে খেলে গ্রুপ লিগ থেকে ফাইনালে পৌঁছয় এরিনার কলকাতা অঞ্চল। টেবিল টেনিসের সিঙ্গলস ও ডাবলস দুই বিভাগেই জয়ী হয়ে সোনা পায় তারা।
এরিনার স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক মুরলীমোহন দে বলেন, “এরিনা স্কুলের গর্ব। এ বছর স্কুল থেকে একমাত্র ও সোনা পেয়েছে। এরিনার নিজের একাগ্রতা ও তার পরিবারের উৎসাহে ওর সাফল্য নিশ্চিত ছিল।”
রেলশহরের পুরাতনবাজার এলাকার বাসিন্দা এরিনার বাবা সুনীল দত্ত ইন্টার রেলওয়ে টেবিল টেনিসে বোঞ্জ জয়ী। সুনীলবাবু নিজেও টেবিল টেনিসের কোচ। ২০০৯ সালে সেরসা স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরু করলেও এখন এরিনা মেদিনীপুর স্পোর্টসম্যান রিক্রিয়েশন ক্লাবেই প্রতিনিয়ত অনুশীলন করে। পাশাপাশি, বাবার কাছে তালিমও চলে। এরিনার বাবা সুনীল দত্ত বলেন, “এরিনা নিজের আগ্রহেই আমার থেকে কিছু শেখার চেষ্টা করে। আমার বিশ্বাস ছিল, এরিনা ও ওঁর দল সোনা আনবে। আমিও তাই ওঁদের সঙ্গে মাথা উঁচু করেই ভদোদরা গিয়েছিলাম।” তাঁর কথায়, “আক্ষেপ একটাই যে, খড়্গপুরে আমার মেয়ের মতো টেবিল টেনিস খেলোয়াড়দের খেলার জায়গা নেই।” বছর চোদ্দোর এরিনা এ দিন বলে, “আগেও দু’বার সোনা পেয়েছি। এ বারও পেলাম। বাবার প্রেরণাই আমাকে জয়ী করেছে।” এরিনা বলে, “এই স্বর্ণ পদকটি আমি যেখানে অনুশীলন করি সেই কোচিং ও স্কুলকে উৎসর্গ করলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy