গোলও করলেন। হাতাহাতিতেও জড়ালেন। এক রাতেই নায়ক এবং খলনায়ক ব্রাজিলীয় মহাতারকা নেইমার।
বুধবার রাতে কোপা দেল রে-র কোয়ার্টার ফাইনালে একার হাতেই দলকে সেমিফাইনালে তুললেন সাও পাওলো ‘ওয়ান্ডারকিড’। কিন্তু জোড়া গোল করে দলের ত্রাতা হওয়ার রাতে আবার মেজাজ হারিয়ে বসলেন নেইমার। যিনি দু’দিন আগেই খারাপ আচরণের জন্য রোনাল্ডোকে নির্বাসনের আবেদন জানিয়েছিলেন স্প্যানিশ ফুটবল সংস্থাকে। ম্যাচের শুরুতেই ফের্নান্দো তোরেসের গোলে ১-০ এগিয়ে যায় আটলেটিকো। যার কিছুক্ষণ পরেই নেইমার ১-১ করেন। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে বার্সা মহাতারকার দ্বিতীয় গোলে ৩-২ এগিয়ে যায় লুই এনরিকের দল। বাকি ম্যাচে যে ফল আর পাল্টায়নি। দু’পর্ব মিলিয়ে ৪-২ জিতে শেষ চারে পৌঁছোয় বার্সা।
তবে প্রথমার্ধের শেষে আটলেটিকো স্ট্রাইকার তোরেসের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন নেইমার। পরিস্থিতি সামলাতে দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যস্থতা করতে হয়। শুধু হাতাহাতি নয়। গোটা ম্যাচেই খারাপ আচরণের অভিযোগ উঠেছে নেইমারের বিরুদ্ধে। ব্রাজিলীয় তারকার অভব্য আচরণেই অর্ধেক ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে, সেটা বলে দিয়েছেন আটলেটিকো তারকা গাবি। যাঁকে এ দিন লাল কার্ড দেখতে হয়। “মাঠে নেইমারের আচরণ খুব খারাপ। ও যখন জেতে তখন বিপক্ষের ফুটবলারদের খারাপ অঙ্গভঙ্গি করে,” বলেন গাবি।
গাবি ছাড়াও ম্যাচের শেষলগ্নে আটলেটিকোর আর এক তারকা মারিও সুয়ারেজকে লাল কার্ড দেখতে হয়। তার উপরে দ্বিতীয়ার্ধের ঠিক শুরুতেই চতুর্থ রেফারির উপর রাগ দেখিয়ে বুট ছুঁড়ে মারেন আটলেটিকোর আর্দা তুরান। ভাগ্যবশত লাল কার্ড দেখার থেকে বেঁচে যান তিনি। সেমিফাইনালে না উঠতে পারলেও দলের পারফরম্যান্সে খুশি আটলেটিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনে। বলেন, “আমি গর্বিত ছেলেদের খেলায়। প্রথমার্ধে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে টিম। বার্সেলোনা প্রতিআক্রমণেই আমাদের ঝামেলায় ফেলল।”
পাশাপাশি বার্সা কোচ লুই এনরিকে বলেন, “গোটা দলের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। প্রথম মিনিটে গোল হজম করেও ম্যাচে ঘুরে দাড়িয়েছে টিম।” নেইমার-বিতর্ক এড়িয়ে ব্রাজিলীয় ওয়ান্ডারকিডের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এনরিকে বলেন, “নেইমার বিশ্বমানের প্রতিভা। ও খুব সাহসী। একসঙ্গে দু’তিন জন ডিফেন্ডারকেও ড্রিবল করতে ভয় পায় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy