ট্রফি নিয়ে দুই ক্যাপ্টেন
তেত্রিশ বছর আগে লর্ডসে প্রুডেনশিয়াল কাপ ফাইনালে দুটো দলকে মুখোমুখি হতে দেখেছিল বিশ্ব। ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন দশকে জল অনেক গড়িয়েছে। দু’দেশের বাইশ গজের লড়াইও কম হয়নি। তবু রবিবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে কোথাও যেন সেই দিনটার ছায়া এসে পড়ছে। তুলনা আসছে, ১৯৮৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের। তবে এ বার ভূমিকাটা বদলে গিয়েছে।
ক্লাইভ লয়েডের মহাপরাক্রমশালী দল সে বার ফাইনালে ফেভারিট ছিল। সুনীল গাওস্কর, কপিল দেবের ভারত নয়। আর এ বার ফেভারিট রাহুল দ্রাবিড়ের টিম। কালো ঘোড়া শিমরন হেতমেয়ারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
রাহুল দ্রাবিড় কোচ হওয়ার পর ভারত এখনও কোনও ম্যাচ হারেনি। বিশ্বকাপে তো সে ভাবে বিরাট চাপের মুখেও পড়েনি তাঁর দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে তাই ভারতকে হারানোর চ্যালেঞ্জটা বিরাট। ভারতের কাছে আবার চার নম্বর অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ট্রফি জেতার লড়াইয়ে প্রধান বাধা হতে পারে আত্মতুষ্টি। যেটা কাটাতে টিমের ভরসা দ্রাবিড়ীয় দর্শন।
টুর্নামেন্টে ৩০৪ করে ফেলা ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সরফরাজ খান যেমন বলছেন কী ভাবে চাপের মধ্যেও শান্ত থাকতে হয় সেটা শিখেছেন ‘রাহুল স্যার’-এর কাছে। ‘‘অনেক কিছুই শিখেছি রাহুল স্যারের কাছে। কী ভাবে প্ল্যানিং করতে হয়, চুপচাপ থাকতে হয়, নিজের কাজে ফোকাস রাখতে হয়।’’ ‘প্রবল চাপেও ঠান্ডা মাথায় থাকা’র এই দ্রাবিড়ীয় মন্ত্রই রবিবার ভারতের ট্রফি জয়ের টোটকা। সঙ্গে আত্মবিশ্বাসের আগুনও রয়েছে। ক্যাপ্টেন ইশান কিষাণ যেমন বলেছেন, ‘‘আমি আর ঋষভ পন্থ যদি ১২ ওভার পর্যন্ত ক্রিজে থাকতে পারি তা হলে ৩০০ রান তোলা সম্ভব। আমরা জানি কখন খুচরো রান নিতে হয়। কখন মারতে হয়। আমাদের ফোকাস তাই শুরুতেই ম্যাচে জমিয়ে বসার চেষ্টা করা।’’ ভারতের আরও একটা সুবিধা টুর্নামেন্টে বেশির ভাগ ম্যাচই তাঁরা মীরপুরে খেলেছে। যেখানে রবিবার ফাইনাল। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং আক্রমণেও ঝাঁঝ রয়েছে। আলজারি জোসেফ, চেমার হোল্ডার প্রথম দশ ওভারে গতি আর বাউন্স রেখে বল করছেন। যেটা মীরপুরের বাউন্সি পিচে কার্যকর হতে পারে। কিমো পল আবার কার্যকর ডেথে। তাই ভারতকে মাঝের ওভারে রান তোলার উপর জোর দিতে হবে।
ব্যাটিংয়ের পাশপাশি ভারতের আরও একটা চ্যালেঞ্জ ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্রুত রান তোলা ব্যাটসম্যান গিডরন পোপ, হেতমেয়ার, শামার স্প্রিংগারদের থামানো। পোপ ওপেনে টানা পারফর্ম করছেন। মিডল অর্ডারে দলের হাল সামলাচ্ছেন হেতমেয়ার আর স্প্রিংগার। ভারতের মায়াঙ্ক ডাগার, আবেশ খান, মহীপাল লোমরোররা বল হাতে ধারাবাহিক হলেও ফাইনালে নতুন লড়াই।
তবে পারফরম্যান্সের থেকেও ভারতের বড় অস্ত্র কিন্তু একটাই—মগজাস্ত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy